ত্বকের নানান সমস্যা হামেশাই দেখা দেয়। এর মধ্যে থাকে ব্রণ, ফুসকুড়ি, ত্বকের শুকিয়ে যাওয়া, ইত্যাদি। অনেকেই এই সমস্যাগুলো থেকে উপশম পাওয়ার জন্য নানান পন্থা অবলম্বন করে থাকেন। কেউ পার্লারে যান যথাযথ ট্রিটমেন্ট করানোর জন্য। কেউ আবার বাজার থেকে একাধিক প্রোডাক্ট কিনে সেগুলো মেখে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চান। আর কেউ ঘরোয়া পন্থা বেছে নেন। কিন্তু কিছুতেই এই সমস্যা পিছু ছাড়ে না।
আসলে অনেক সময়ই ত্বকের সমস্যার মূল কারণ লুকিয়ে থাকে খাবারের মধ্যে। তাই এই সমস্যা দূর করতে খাদ্যতালিকা থেকে এই খাবারগুলো বাদ দিন। দেখে নিন কোন খাবার বাদ দেবেন।
ত্বক ভালো রাখতে যে খাবার খাবেন না।
১. ভাজাভুজি: রোজকার খাদ্যতালিকায় কোনও না কোনও ভাজাভুজি থেকেই থাকে। সবার আগে সেগুলোকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন ভাজাভুজি খাওয়া মানেই ব্রণ, ইত্যাদির সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়া। শুধুই যে ব্রণ, ফুসকুড়ি হয় সেটা নয়, একই সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত ভাজাভুজি খেলে। পেটের সমস্যাও দেখা দেয়, সংক্রমণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই বিকেলের জলখাবারের তালিকার আলুর চপ হোক বা দুপুরের পাতে আলু ভাজা, একদম নয়।
২. বার্গার, পিৎজা: বাইরে বেরোলেই নানান ধরনের খাবার খাওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু চেষ্টা করবেন এই ধরনের খাবার না খাওয়ার। বার্গার, পিৎজা খেলে জানবেন ব্রণর সমস্যা বাড়তে পারে কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ক্যালোরি। সঙ্গে থাকে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট। ফলে এগুলো একাধিক শারীরিক সমস্যার সঙ্গে ব্রণর সমস্যাও বাড়ায়।
৩. তেল, মশলা: অতিরিক্ত তেল মশলা দেওয়া খাবার খেলে পেটের সমস্যা তো হয়ই। সঙ্গে হয়ে থাকে চুল পড়ার সমস্যা। চুল পড়া তো বাড়েই সঙ্গে বাড়ে ব্রণর সমস্যা।
৪. চকলেট: অনেকেই খেতে ভালোবাসেন। চকলেট ছাড়া যেন তাঁদের দিন অসম্পূর্ণ। কিন্তু জানেন কি অতিরিক্ত চকলেট খেলে সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে? আসলে এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট কোলাজেন যা সিবামের উৎপাদন ঘটায়। আর এটার কারণেই বলিরেখা পড়ে যায় তাও খুব কম বয়সেই। তাই যতটা পারবেন চকলেট কম খান। কিন্তু হ্যাঁ, ডার্ক চকলেট খেতেই পারেন। এটা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ভালো, উপকারীও বটে!
৫. হাই-গ্লাইসেমিক খাবার: রুটি, পাস্তা, আলু, বা এই ধরনের জিনিস কম পরিমাণে খান কারণ এতে রয়েছে হাই-গ্লাইসেমিক। এগুলো যত বেশি খাবেন তত বাড়বে সংক্রমণের ঝুঁকি, সঙ্গে বয়সের আগেই ত্বকের বার্ধক্যের ছাপ পড়ে যাবে। উজ্জ্বলতা হারাবে আপনার ত্বক। তাই ত্বক ভালো রাখতে, উজ্জ্বল রাখতে এগুলো কম পরিমাণে খাবেন।
এছাড়া ত্বক ভালো রাখতে প্রচুর পরিমাণে জল খান। রোজ ৭-৮ গ্লাস জল অবশ্যই খাবেন। জল আমাদের শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে থাকে। রোজ ঘুম থেকে উঠেই খালি পেটে জল খান। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।