শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা প্রয়াত হলেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং কৃত্রিম প্রজনন বিদ্যার গবেষক ও চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর। ১৭ মার্চ সেরিব্রাল স্ট্রোক, নিউমোনিয়া-সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত হয়ে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এই প্রখ্যাত চিকিৎসক। গত বছর কোভিডেও আক্রান্ত হন তিনি। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার থেমে গেল তাঁর লড়াই।
কেন তাঁকে মনে রাখবে চিকিৎসাশাস্ত্র?
ভারতে আইভিএফ চিকিৎসার সূচনা যাঁদের হাতে হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বৈদ্যনাথ চক্রবর্তী। কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন, নলজাতক বা ‘টেস্ট টিউব বেবি’ নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে তিনি পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় ছিলেন।
১৯৮৬ সালে ‘ইনস্টিটিউট অব রিপ্রোডাকটিভ মেডিসিন’ তৈরি করেন তিনি। সে বছরই পশ্চিমবঙ্গে প্রথম ‘টেস্ট টিউব বেবি’র জন্ম হয়। এর পিছনেও ছিলেন বৈদ্যনাথবাবু।
তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘ভারতে আইভিএফ বা কৃত্রিম উপায়ে প্রজনন অর্থাৎ নলজাতক গবেষণা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অগ্রগণ্য। এই বর্ষীয়ান চিকিৎসকের প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অফ রিপ্রোডাক্টিভ মেডিসিন অগণিত নিঃসন্তান দম্পতিকে সন্তানলাভে সাহায্য করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে ২০১৯ সালে ‘বিশিষ্ট চিকিৎসা সম্মান’ (লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড)-এ ভূষিত করে। তাঁর মৃত্যুতে চিকিৎসা ও গবেষণা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি চিকিৎসক বৈদ্যনাথ চক্রবর্তীর আত্মীয়-পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’
চিকিৎসকমহলের তরফে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।