এস বি পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসবের থিম ‘এলেম নতুন দেশে’, সঙ্গে ৬ফুট উচ্চতার ধূপকাঠি যা টানা ৭২ ঘন্টা ধরে জ্বলবে । এক অভিনব ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে ঠাকুরপুকুর এস বি পার্ক সার্বজনিন। এই ক্লাবের এই বছরের থিম ‘এলেম নতুন দেশে’। তবে শুধু তাই নয়। এই বছর পুজোতে রয়েছে আরও একটি দৃষ্টি আকর্ষণের দিক। ৬ ফুট উচ্চতার বিশালাকায় ধূপকাঠি নিয়ে হাজির হয়েছে এই পুজো। যা টানা ৭২ ঘন্টা ধরে জ্বলবে। এই ধূপকাঠি থেকে নির্গত সুগন্ধ ১ কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে পৌঁছবে।
এস বি পার্ক সার্বজনীন দুর্গোৎসব উদ্বোধন করলেন শ্রী দিলীপ মন্ডল, রাজ্য পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী, শ্রীমতী সম্পূর্ণা লাহিড়ী, অভিনেত্রী ও এস বি পার্ক সর্বজনীন দুর্গোৎসব ২০২৩-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর এবং আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন: পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার এই রাজবাড়িগুলির পুজোয় রয়েছে গায়ে কাঁটা দেওয়া রীতি! যাবেন নাকি?
মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময়, ক্লাবের সভাপতি শ্রী সঞ্জয় মজুমদার জানান, ‘এস বি পার্ক সার্বজনিন তাদের ৫৩ তম বছরে থিম- এলেম নতুন দেশে উদযাপন করতে পেরে অত্যন্ত গর্বিত। এমন একটি অস্থির সময়ে, যখন চারপাশের বিশ্ব রাজনীতি, ধর্ম, পুঁজিবাদ এবং জলবায়ু সংকটের কারণে প্রতি সেকেন্ড সংকীর্ণ হয়ে আসছে, তখন এস বি পার্ক শৈল্পিক কল্পনার মাধ্যমে একটি সমাধানে পৌঁছনোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: এই পুজোতে গ্রাম বাংলায় পাড়ি দিন, জেনে নিন নির্জনে পুজো কাটানোর বিশেষ কিছু ঠিকানা
'এলেম নতুন দেশে' শব্দটি স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘তাসের ঘর’ নাটকে ব্যবহার করেছিলেন। নাটকে তিনি বিভেদ, ভেদাভেদ বা ভেদাভেদ মুক্ত জীবনের কথা বলেছেন। এমনকি এস.বি. পার্কেও, এই ধারণাটি মন্ডপের নকশায় প্রতিফলিত হয়েছে। পাখিদের একটি দেশ, যেখানে পাসপোর্ট বা ভিসার প্রয়োজন নেই; আলো-বাতাসের মতোই তারা অবাধে এক ভূমি থেকে অন্য ভূমিতে উড়তে পারে, সীমানা ছাড়াই। ঠাকুরপুকুরের পুজো মণ্ডপে পা রাখলে মনে হবে যেন কারো মধ্যে কোনও বিভেদ নেই।’ তিনি সবাইকে পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে পুজোয় আসার আমন্ত্রণ জানান।