পুজোর ক’দিন একান্তে নিরিবিলিতে ঠাকুর দেখার উৎসাহ অনেকেরই আছে। চাইলেই শহর থেকে সামান্য দূরে গিয়ে শান্তিতে পুজো কাটানো যেতে পারে। জনস্রোত থেকে পালিয়ে দূরে কোথাও যাওয়ার কিছু সেরা ঠিকানা রয়েছে। তবে শহরে নয় পাড়ি দিতে হবে জেলাতে। শহর পেরিয়ে গ্রামের কোনায় কোনায় রয়েছে বেশ কিছু জমিদার বাড়ির পুজো যা পুজোর দিনগুলো একেবারে অন্য আমেজ দিতে পারে আপনাকে।আসুন জেনে নেওয়া যাক শহর থেকে পালিয়ে ঠাকুর দেখার কিছু বিশেষ জায়গা-
সাঁওতার কোয়ার বাড়ির দুর্গাপুজো- পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে গেলে দেখা মিলবে এই বিশেষ পুজোর। এই বনেদি বাড়ির পুজোর একটি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। দুর্গা মায়ের ঘটে ৪০ লিটার জল ধরে। আজও পুরনো রীতি মেনেই এই পুজো করা হয়। বাগদি বাড়ার বাসিন্দাদের ছাড়া ঠাকুরের বিসর্জন হয় না এই বাড়িতে। বনেদি বাড়ির দালান জুড়ে চারদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আনন্দের রোশনাইয়ে ঝলমল করে পুরো বাড়ি। তাই একেবারে অন্যরকম আমেজ পেতে একদিন ঘুরেই আসতে পারেন এই বনেদি বাড়িতে।
বড়শুলের জমিদার বাড়ির পুজো- পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের জমিদার বাড়ির কিন্তু আর পাঁচটা পুজোর থেকে একেবারেই আলাদা। এই দুর্গা প্রতিমার দশ হাত নেই। মহিষাসুরও নেই। রয়েছেন মহাদেব। দেবী মহাদেবের বাম ঊরুতে আসীন। একেবারেই ভিন্ন ধরনের এই বাড়ির দুর্গা প্রতিমা। এই বাড়ির কোনও পূর্বপুরুষের স্বপ্নাদেশ পেয়েছিল হরগৌরীর পুজো করার জন্য। তারপর থেকেই এই বাড়িতে হরগৌরীর আরাধনা করা হয়।
আরও পড়ুন: কলকাতার ভিড় এড়িয়ে নির্জনে ঠাকুর দেখতে চান? ঘুরে আসুন হুগলির এই ৩ জায়গায়
গঙ্গাটিকুরির জমিদার বাড়ির পুজো- গঙ্গাটিকুরি জায়াগাটি পূর্ব বর্ধমানে অবস্থিত। এই বাড়ির দুর্গাকে কন্যারূপে পুজো করা হয়। কথিত আছে এই বাড়ির মা’কে ডাকলে সাড়া পাওয়া যায়। এই জমিদার বাড়ির দালানে ছড়িয়ে রয়েছে বহু ইতিহাস। এই বাড়িতে মা মেয়ে রূপে থাকেন। ইন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ির এই দুর্গাপুজো নিয়ে নানান জনশ্রুতি রয়েছে। বলা হয় এই ঠাকুরের কাছে কিছু চাইলে তা পাওয়া যায়। তাই চারিদিক থেকে মানুষের ভিড় জমে এই পুজোতে।