ঘাম হওয়া কোনও অসুখ নয়। মোট জনসংখ্যার ১% এই অতিরিক্ত ঘামের সমস্যার শিকার। ঘাম শরীরের একটি স্বাভাবিক শারীরির প্রক্রিয়া। ঘামের মাধ্যে দিয়ে শরীরের কিছু অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিক থাকে।তবে অতিরিক্ত ঘাম শরীরের জন্য ঠিক নয়। অতিরিক্ত ঘাম হলে প্রয়োজনীয় কিছু খনিজ ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ফলে, সোডিয়াম পটাশিয়ামের মাত্রা নেমে গিয়ে বিপদ ডেকে আনে।
ঘামের সমস্যা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও তৈরি করে। কোনও অনুষ্ঠান, কিংবা অফিসিয়াল কোনও কাজে গিয়েছেন, সেখানে অতিরিক্ত ঘাম দিলে বিব্রত হতে হয়। এছাড়া, অতিরিক্ত ঘামের ফলে দুর্গন্ধ আপনাকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।
হাতের তালু, বগল ও পায়ের পাতা শরীরের অন্য অঙ্গের তুলনায় বেশি ঘামে। এই সমস্যাকে হাইপার হাইড্রোসিস বলা হয়। অনেককে খুব গরম না থাকলেও ঘামতে দেখা যায়। কেউ কেউ তো আবার এসি রুমেও ঘামে। এক্ষেত্রে ঘাম কোনও শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।
ঘাম হওয়ার সম্ভাব্য কারণ কী কী?
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে বেশি ঘাম হয়।
হৃদযন্ত্রের সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যা থাকলেও আপনি অতিরিক্ত ঘামতে থাকবেন।
যাঁদের ডায়াবিটিস আছে, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা তাঁদের ক্ষেত্রেও এই সমস্যা হয় সবচেয়ে বেশি।
এছাড়াও, হাইপার-টেনশনের মধ্যে থাকলে বা শরীরে কোনও রোগ থাকলেও এই সমস্যা দেখা দেয়।
তবে, ঠিক কী কারণে শরীরে নির্দিষ্ট অংশে বেশি ঘাম দেয় এ বিষয়ে নিশ্চিত কিছু বলা যায় না।
সমাধান কী?
শরীরের কোন অংশে ঘাম বেশি হয় তার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি।
ইনজেকশন ও সার্জারির মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সার্জারির দ্বারা ৯৯% সাফল্য এসেছে।
ডারমাটলজিস্টকে দেখিয়েও ওষুধ খেতে পারেন।
তবে সবটাই নির্ভর করবে ওষুধের ডোজ, সঙ্গে নিয়মিত চেক-আপের ওপর।
চিকিৎসকদের মত
ঘামের সমস্যা যদি দিনে দিনে বাড়তে থাকে সেই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনও ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। ছোটবেলা থেকেই যদি এই সমস্যা থাকে, তাহলে ডাক্তার দেখালে সেরে যায়। তাই, দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।