গুগলে অনেকেই অনেক কিছু সার্চ করেন। সংস্থার নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবস্থায় তা ধরাও পড়ে। পরিচয় গোপন থাকলেও কোন এলাকার কোন যন্ত্র থেকে সার্চ করা হচ্ছে, তা গুগল দেখতে পায়। বিশেষ একটি সার্চের কারণে খবর পৌঁছে যায় আমেরিকার অপরাধদমন শাখার কাছে। হঠাৎই গুগলে একটি বিশেষ সার্চ চলছিল ভারতের মুম্বাই এলাকা থেকে। সার্চের বিষয়—‘হাউ টু কমিট সুইসাইড উইদাউট পেইন’ অর্থাৎ কীভাবে কোনও ব্যথা ছাড়াই আত্মহত্যা করতে হয়! এমন সার্চ দেখেই চমকে উঠে তৎপর হয় আমেরিকার ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
মঙ্গলবার বিকেলে গুগলের সার্ভারে এই সার্চ ভেসে আসতে দেখা যায়। তারপর ক্রাইম ব্রাঞ্চ হয়ে ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো মারফত খবর পৌঁছায় দিল্লির ইন্টারপোলে অফিসে। সেখান থেকে মুম্বই পুলিশের কাছে খবর গেলে তৎপর হয়ে ওঠেন তাঁরা। শেষে তাঁদের চেষ্টায় বাঁচানো সম্ভব হয় বছর ২৫ বয়সের ওই ব্যক্তিকে।
ঠিক কী ঘটেছিল এই দিন? মুম্বাই পুলিশের কাছে মঙ্গলবার হঠাৎ করেই ফোন আসে দিল্লি ইন্টারপোল অফিস থেকে। জানানো হয়, আমেরিকার ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো থেকে খবর এসেছে, মুম্বাইয়ের যোগেশ্বরী এলাকায় ‘আত্মহত্যার উপায়’ নিয়ে গুগল সার্চ করা হচ্ছে। মোবাইলের আইপি অ্যাড্রেস ও ঠিক কোন জায়গায় এই সার্চ হচ্ছে তাও জানানো হয়। তারপরেই তৎপর হয়ে ওঠে মুম্বই পুলিশ। অভিযান চালিয়ে এক ব্যক্তির খোঁজ মেলে। তাঁকে আত্মহত্যা থেকে বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও খবর দেওয়া হয়।
জানা যায়, পেশায় আইটি কর্মী ওই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অবসাদে ভুগছেন। একাধিক জায়গা থেকে বড় অঙ্কের টাকা ধার করেছেন তিনি। আইটি ইঞ্জিনিয়ার ব্যক্তিটি গত বছর একজনের থেকে ২ লাখ টাকা ধার করেন। এরপর আরেক বন্ধুর থেকে ৩০ হাজার টাকা ধার করে ফোন কেনেন। তাতেও প্রয়োজন না মেটায় নিজের ক্রেডিট কার্ড মারফত ৬৫ হাজার টাকা ধার করেন। গত এক বছরে এই ধারের শুধু সুদ ছাড়া আর কিছুই শোধ করতে পারেননি তিনি। সেই থেকে অবসাদে ডুবে যাওয়া শুরু। শুধু তাই নয়, এরপর মদের নেশাও শুরু হয়। মুম্বাইয়ের যোগেশ্বরী এলাকায় থাকেন তিনি। বর্তমান পশ্চিম কুরলার এক আইটি সংস্থায় কর্মরত এই ব্যক্তি।
আত্মহত্যা প্রতিরোধকারী হেল্পলাইন নম্বর
সুইসাইড প্রিভেনশন ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন: ৮০৪৭০৯৬৩৬৭
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup