গ্রিন টি-র ফ্যান কি আপনিও? রোজ চুমুক বসান এই সবুজ পানীয়ে? তবে দেখে নিন তো, এই ছোট ছোট ভুলগুলি আবার করেন না তো?
1/6 বর্তমানে অনেকেই সুস্থ থাকতে বেছে নেন গ্রিন টি। ওজন কমানোর পাশাপাশি, গ্রিন টি-র রয়েছে একাধিক উপকারিতা। ক্যামেলিয়া সিনেনসিস উদ্ভিদ থেকে গ্রিন টি তৈরি হয়। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজন কমাতে সাহায্য করে। সঙ্গে এটি শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন বের দিতেও ভীষণ কার্যকরী।
2/6 গরমের দেশে অনেকেই চা পান করতে খুব ভালোবাসেন। সকাল বিকেল চা না পান করলে যেন মনে হয় কাজের উৎসাহই পাওয়া যাচ্ছে না। এই চা আভার নানা রকমের হতে পারে। লিকার চা, দুধ চা, বা গ্রিন টি। চায়ের গুণেরও শেষ নেই। কিন্তু জানেন কি এই চা ডেকে আনতে পারে বিপদ।
3/6 খালি পেটে গ্রিন টি: অনেকেরই সকালে ঘুম ভাঙতে চায় না চা ছাড়া। আর এখন দুধ বা চিনি না খাওয়ার কারণে তাদের মধ্যে কেউ কেউ বেছে নেন গ্রিন টি। তবে মনে রাখবেন খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়া কখনোই ঠিক নয়। জলখাবার খেয়ে নিয়ে ১ ঘণ্টা পরে গ্রিন টি পান করুন। কারণ, এই সবুজ চায়ে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং শক্তিশালী পলিফেনল। যা শরীরে অ্যাসিড তৈরি করে। এবং খালি পেটে গ্রিন টি খাওয়ার ফলে হজম ক্ষমতাই কমে যায়।
4/6 গরম গরম চা: খুব গরম গ্রিন টি পান না করাই ভালো। বরং অভ্যেস করে ফেলুন ইষদুষ্ণ অবস্থায় পান করতে। খুব বেশি গরম অবস্থায় পান করলে পেটে ব্যথার সমস্যা হতে পারে। সঙ্গে স্বাদও পাওয়া যায় না ঠিকঠাকভাবে।
5/6 খেয়ে উঠে গ্রিন টি: আবার অনেকেই মনে করেন খেয়ে উঠে এক কাপ গ্রিন টি খেয়ে নিলেই বুঝি কমে যাবে ওজন। মনে রাখবেন, খেয়ে উঠেই চা খাওয়া ঠিক নয়। খাবারে থাকা প্রোটিন শরীর হজম হতে সময় নেয়, তাই খাবারের ঠিক পরে গ্রিন টি পান করলে এই প্রক্রিয়াটিকে বাধাপ্রাপ্ত হয়। বরং সেই সময় গ্রিন টি পান করলে অ্যাসিড হয়ে যেতে পারে। খাওয়ার অন্তত ১ ঘণ্টা পরে এটি পান করুন।
6/6 কতবার খাবেন গ্রিন টি: চট জলদি রোগা হওয়ার চক্করে কেউকেউ ৫-৭ কাপ গ্রিন টি-ও খেয়ে ফেলেন গোটা দিনে। মনে রাখবেন, এতে লাভের থেকে ক্ষতিই বেশি হবে। সর্বাধিক ৩ কাপ চা আপনি খেতে পারেন। তাও ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে থেকে আর চা না খাওয়া ভালো। কারণ এতে থাকা টক্সিনের কারণে চোখ থেকে উড়ে যায় ঘুম। আর কে না জানে, ওজন কমাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম ভীষণ জরুরি।