চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদে পৌঁছে গেছে দেশ, কিছু দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে সূর্যের কাছেও। বর্তমানে খুব সহজেই পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণকে অতিক্রম করতে সক্ষম ভারত। কিন্তু দেশের সিংহভাগ মানুষের রুটিরুজির বেহাল দশা কাটছে কই! তারই টুকরো ছবি যেন উঠে এলো ইন্টারনেটের দুনিয়ায়। ডেলিভারি শ্রমিকদের নিত্য কাজের চাপ চোখে আনবে আপনারও।
আজকাল, আপনি আপনার পছন্দের জিনিস ঘরে বসেই অর্ডার করতে পারেন শুধুমাত্র কয়েকটি ক্লিকে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির এই ঝাঁ চকচকে দিকের পেছনে লুকিয়ে রয়েছে এক অজানা অন্ধকার দিক। এক ক্লিকে আমাদের পছন্দের জিনিস আমাদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার পেছনে যে অজ্ঞাত নায়করা রয়েছেন, তাদের কথা আমরা কি ভেবে দেখেছি কোনও দিন? উত্তরটা হল, না। ডেলিভারি এজেন্টরা কোনও রকম অজুহাত ছাড়াই অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের কাছে পৌঁছে দেয় আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস। এই পরিশ্রমের মাঝে তারা তাদের কষ্ট লুকিয়ে রাখে এক মুখ হাসি দিয়ে।
সাম্প্রতিক একটি ভাইরাল ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটের দুনিয়াতে। ভিডিওটি আপলোড করেছেন একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী, যার নাম উৎকর্ষ। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, একজন ডেলিভারি এজেন্ট সময়ের অভাবের জন্য নিজের ক্ষুদা নিবারণ করতে খাচ্ছেন শুধুই চা আর বিস্কুট। হৃদয়-ছোঁয়া এই ভিডিওটির সঙ্গে লেখা ছিল ‘জো আপকে লিয়ে ত্রিশ মিনিট মে খানা ডেলিভারি করতা হ্যায়, আকসার ওহ আপনা পেট স্যারফ বিস্কুট চা সে ভর পাতা হ্যায়।’ (যে ৩০ মিনিটে আপনার খাবার সরবরাহ করে, প্রায়শই সেই ব্যক্তিটি বিস্কুট এবং চা দিয়ে তাদের পেটের ক্ষুধা নিবারণ করে)।
আবেগপূর্ণ এই ভিডিও ক্লিপটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। কিছু সময়ের মধ্যেই ৩ মিলিয়নেরও বেশি ভিউ হয় এই ভিডিওটিতে। ভিডিওটির কমেন্ট সেকশনে লোকেরা নানান মন্তব্যও করেন। অনেকেই পরামর্শ দিয়ে বলেন যে, ডেলিভারি এজেন্টদের টিপস দিতে। আবার অনেকে সম্মানের সাথে ডেলিভারি এজেন্টদের সাথে ব্যবহার করার কথা বলেন। একজন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারী লিখেছেন, যে আমিও একজন ডেলিভারি এজেন্ট। সেই জন্য আমি এই বিষয়টি খুব অনুভব করতে পারছি।
একই ধরনের আরেকটি ঘটনা সম্প্রতি নজর কেড়েছিল সাধারণ মানুষের। আইএএস অফিসার অবনীশ টুইটারে (বর্তমনে এটি এক্স নামে পরিচিত) একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। ভিডিওটিতে একজন জোমাটো ডেলিভারি এজেন্ট তার মোটরসাইকেলের পাশে দাঁড়িয়ে তার একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ থেকে দ্রুত খাবার শেষ করার চেষ্টা করছে। ভিডিওটি থেকে বোঝা যায় যে, তাদের কাজের প্রকৃতি এবং তাদের ব্যস্ত সময়সূচীর মধ্যে খাবারের জন্য সময় বের করার খুব কঠিন কাজ। কবে বদলাবে ডেলিভারি শ্রমিকদের এই দুর্দশা, তারা তা জানেন না।