মন ও শরীরের সবচেয়ে বড় শত্রু হল অবসাদ। কিছু কিছু অধ্যয়ন থেকে জানা যায়, কয়েক সেকেন্ডের দুশ্চিন্তা আমাদের কয়েক ঘণ্টার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। তবে যোগাভ্যাসের মাধ্যমে অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
যোগাভ্যাস করলে মন স্বাভাবিকভাবে শান্ত হয়। একটি ব্যস্ত, বিচলিত অবস্থা থেকে মনের প্রাকৃতিক শান্তি ফিরিয়ে আনে। শান্ত মস্তিষ্ক আমাদের সমস্ত ধারণা স্পষ্ট ভাবে দেখতে পারে এবং বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।
যে কোনও অবসাদগ্রস্ত ব্যক্তির জন্য যোগাভ্যাস, বিশেষত মেডিটেশন বা ধ্যান গেম চেঞ্জারের ভূমিকা পালন করতে পারে।
অবসাদমুক্তিতে কীভাবে সাহায্য করে যোগাসন?
১. ধ্যান- মন শান্ত ও স্থির করার জন্য ধ্যান একটি শক্তিশালী অস্ত্র। আপনি আসনে বসুন, অনুক্রমের মাধ্যমে গতিশীল থাকুন বা ধ্যান মুদ্রায় বসে থাকুন - যাই করুন না কেন আপনি যখন নিজের সচেতনতাকে শ্বাস পর্যন্ত নিয়ে যান, তখন সমস্ত কিছুর গতি কমে আসে।
২. ইতিবাচক শক্তি- প্রতিদিন যোগাভ্যাস করে স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটানো যায়। যোগ শরীরের ইতিবাচক শক্তিকে প্রভাবিত কর, যার ফলে ব্যক্তি শান্ত, কেন্দ্রীভূত, ভারসাম্যযুক্ত ও অবসাদ মুক্ত হয়। বাড়ি বা বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন, যোগ আপনাকে স্বস্তি দিতে সাহায্য করে।
৩. নেতিবাচক চিন্তাভাবনা দূর করা- রাগ, অপরাধবোধের মতো নেতিবাচক চিন্তাভাবনা অবসাদের জন্ম দিতে পারে। যে কোনও দুশ্চিন্তা চাপ সৃষ্টি করে। যোগের মাধ্যমে আবেগপ্রবণ শক্তিকে বাস্তবে প্রভাবশালী রূপে ত্যাগ করা হয়। নিতম্ব ও কাঁধকে মুক্ত করে যে মুদ্রা, তাঁকে অধিক প্রভাবশালী মনে করা হয়।
৪. মেজাজ- মেজাজ ভালো রাখবে যোগাভ্যাস। কঠিন পরিস্থিতির কারণে অবসাদ ও দুশ্চিন্তার লক্ষণ দেখা দিলে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে যোগ সাহায্য করে।
৫. মানসিক দৃঢ়তা- যোগাভ্যাসের ফলে মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি হয়। আপনি যখন কোনও যোগ্যাভ্যাস করেন, তখন আপনার মন মাংসপেশীর সমন্বয় বজায় রাখতে বা শরীরের কোনও মুদ্রা অথবা ভঙ্গিকে সঠিক রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
৬. ভালো ঘুম- অবসাদ আপনার ঘুম কেড়ে নিতে পারে। আপনার স্লিপ প্যাটার্ন নষ্ট করে দিতে পারে। অবসাদমুক্তির জন্য যোগাভ্যাস করুন। ফলে এই চক্র ভাঙবে ও আপনি স্বস্তি লাভ করবেন।