হার্টের অসুখের জন্য বর্তমান সময়ে কোলেস্টরলকে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। কিন্তু এটা কি সত্যি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? মোটেই না, সব ধরনের কোলেস্টরল মোটেই স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ নয়। উল্টে এটা এমন অনেক কাজ করে থাকে যেগুলো অত্যন্ত জরুরি। এই যেমন বলা যাক, কোষের গঠন, কিংবা ভিটামিন ডি তৈরি, ইত্যাদি।
কোলেস্টরল শরীরের মধ্যে চলাচল করে এলডিএল এবং এইচডিএল লিপোপ্রোটিনের সাহায্যে। যার মধ্যে এলডিএল কোলেস্টরলকে লিভার থেকে শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন ধমনী, কোষ, ইত্যাদিতে নিয়ে যায়, অন্যদিকে এইচডিএল শরীর থেকে অতিরিক্ত এলডিএল দূর করতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদ ভক্তি কাপুর জানান যে কোলেস্টরল আমাদের সেল মেমব্রেন এর জন্য ভীষণই উপকারী। পৃথিবীতে এমন কোনও প্রাণী নেই যার কোলেস্টরল নেই। কোলেস্টরল অতিরিক্ত কমে গেলে তাড়াতাড়ি মৃত্যু অবধি ঘটতে পারে। কোলেস্টরল না থাকলে এস্ট্রোজেন, টেস্টোস্টেরন, সহ একাধিক হরমোন তৈরি হবে না, কাজও করবে না।
তাহলে সমস্যাটা কোথায়? সমস্যা তখনই তৈরি হয় যখন কিছু ধরনের কোলেস্টরল ফ্রি র্যাডিকেল অক্সিডেশনে সাহায্য করে। এই কারণে শরীরে প্রদাহ হয়, ধমনীর মধ্যে দিয়ে রক্তচলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। এবং ফলস্বরূপ হার্টের অসুখ হয়। এই ফ্রি র্যাডিকেলগুলো শরীরে মূলত তৈরি হয় অতিরিক্ত পিইউএফএ, ধূমপান, স্ট্রেস, ক্যানসার, ইত্যাদির কারণে।
এবার দেখে নেওয়া যাক কোলেস্টরল সম্পর্কে মানুষের কী কী ভুল ধারণা আছে।
১. কোলেস্টরল খারাপ। না কোলেস্টরল খারাপ নয়, উল্টে এটা একাধিক কাজের জন্য ভীষণ জরুরি।
২. শরীরে কোলেস্টরল বাড়ে কারণ অতিরিক্ত কোলেস্টরলযুক্ত খাবার খাওয়া হয় বলে। না, মাত্র ২০-২৫ শতাংশ কোলেস্টরল আসে খাবার থেকে। বাকিটা তৈরি করে লিভার।
৩. হাই কোলেস্টরল মানেই হার্টের অসুখ। না। এলডিএল সি চেক করুন, এটা থেকেই বোঝা যাবে যে আপনার হার্টের অসুখের সম্ভাবনা আছে কিনা।