স্কটল্যান্ডের বালমোরাল কাসলে রাজা তৃতীয় চার্লস এবং প্রিন্স উইলিয়ামের সঙ্গে নৈশভোজে যাননি প্রিন্স হ্যারি। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর দিনে অর্থাৎ ৮ সেপ্টেম্বর এই ঘটনাটি ঘটেছে। এমনই জানা গিয়েছে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম সূত্রে।
কিন্তু কেন এই ঘটনা? জানা গিয়েছে, প্রিন্স হ্যারি নাকি ফোন করে রাজা তৃতীয় চার্লসকে বলেন, তাঁর স্ত্রী মেগানকে এই নৈশভোজে রাখার কথা। কিন্তু চার্লস নাকি সেই দাবি মানতে চাননি এবং তিনি নাকি বলেন, এটি ‘অশোভন’ হবে। তাই হ্যারি নিজেও এই নৈশভোজ ‘বয়কট’ করেন বলেই শোনা গিয়েছে।
তবে শেষ এখানেই নয়। হ্যারি নাকি এমন দীর্ঘ সময় চার্লসের সঙ্গে ফোনে এই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চালান, তাতে এক সময়ে তাঁর জন্য রাখা বিমান চলে যায়। ফলে তাঁকে বলা হয় স্কটল্যান্ডে তাঁর যাওয়ার ব্যবস্থা নিজেকেই করে নিতে।
অবশেষে বালমোরাল কাসলে পৌঁছোন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি নাকি আর সেই নৈশভোজে হাজির হননি বলেই জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, রানির মৃত্যুর পরে হ্যারি সকলের আঘে বালমোরাল কাসল ছেড়ে রওনা দেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যের পরে হ্যারি এবং মেগান খুব দ্রুত ইংল্যান্ড ছেড়ে ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশে রওনা দেন।
তবে এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, রাজ পরিবারের অন্দরে এখনও জটিলতা কাটেনি হ্যারি এবং মেগানকে নিয়ে। এর আগে একবার রানির জীবদ্দশায় এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়। রানির টেবিলে রাখা ছবি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় হ্যারি এবং মেগানের ছবি। তার পর থেকেই ম্যাগান এক প্রকার ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন রাজ পরিবারে। সেই সমস্যা যে এখনও পুরোদস্তুর বহাল রয়েছে, তা প্রমাণ করে দিল হালের এই ঘটনা।