হোলির কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। চারিদিকে সাজো সাজো রব। সকলের রঙে রঙ মেশানোর পালা শুরু হতে আর বাকি কয়েকদিনের অপেক্ষা। বসন্তের রঙে মনকে রাঙিয়ে নেওয়ার পালা কেউই হাতছাড়া করতে চান না। আর রঙের আসরে আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার আগে খেয়াল রাখতে হবে নিজের সুরক্ষারও। বহু সময়ই দেখা যায়, হোলির সময় আত্মহারা হয়ে রঙ খেলার সময় অনেকেরই মুখে, চোখে ঢুকে যায় রঙ। এই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে কী কী করণী. দেখে নেওয়া যাক।
পিচকিরির মুখে পড়ে হাতের রঙ সামনের মানুষটির দিকে ছুঁড়ে দেওয়ার মাঝে বহু সময়ই অসাবধানতাবশত চোখে ঢুকে যায় রঙ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোলির রঙ থেকে শুধু চোখ নয়, বিভিন্ন সময় ত্বক নষ্ট হওয়ারও সমস্যা দেখা যায়। এরজন্য বেশ কিছু পদক্ষেপের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
আইগ্লাস
দোলের দিন রঙ খেলতে যাওয়ার আগে একেবারেই ভুলবেন না আইগ্লাস। চাইলে হাতের কাছে থাকা একটি সানগ্লাসকে সঙ্গে নিয়েই নেমে পড়ুন, রঙ খেলার আসরে। অনেক সময় রঙের তোড় আসে বেলুনের হাত ধরে। ফলে সেই সময় চোখকে বাঁচাতে একমাত্র সুবিধাজনক উপায় সানগ্লাস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বেলুনের রঙের তোড় যদি সবেগে এসে চোখে পড়ে , তাহলে চোখের নার্ভের ক্ষতি হয়।
বিষাক্ত রঙ কতটা ক্ষতি করে?
হোলির বহু রঙেই পারদ, সিলিকা, সীসা থেকে থাকে। বাজারে বিক্রি হওয়া এমন বহু রঙ থেকেই তৈরি হতে পারে ত্বকের সমস্যা। এগুলি চোখে গেলে অ্যালার্জির মতো উপসর্গ দেখা যায়। অনেক সময় ত্বকে জ্বালাভাবের উদ্রেক করে এই বিষাক্ত রঙ।
ভেষজ রঙ ব্যবহার কেন প্রয়োজন?
যাতে প্রাকৃতিক বা ভেষজ রঙ ব্যবহার করা যায়, তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। কারণ ভেষজ রঙ চোখে লাগলে সেভাবে কোনও মতেই চোখে বা ত্বকে সমস্যা দেখা দেয় না। অপরাজিতা, কাঁচা হলুদ, বিট, গাঁদা ফুল থেকে অনেকেই ভেষজ আবির তৈরি করে থাকেন। আর তা করা হলে ত্বকের বিপদ কমে যায়। ফুলের আবির ভীষণই মসৃণ হয়।