সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে, নিজের আত্মীয়-পরিজন ছেড়ে কে চলে যেতে চায় বলুন। কথায় আছে, মৃত্যুকে আটকানো কারও হাতে নেই। কিন্তু নিয়মমতো চললে ও বিশেষ কিছু দিক খেয়াল রাখলে আমরা দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারি। উচ্চ রক্তচাপ, সুগারের মতো একাধিক মারণরোগ আটকাতে পারি আমরা। যুক্তরাজ্যে অত্যন্ত সুপরিচিত চিকিৎসক ড. ডন হারপার সম্প্রতি তাঁর লেখা বইয়ে বেশ কিছু বিষয়ের কথা তুলে ধরেছেন। আপনাদের জন্য রইল সেই ৭ উপায়--
১. সময় মতো ঘুমোন
কতটুকু সময় ঘুমাচ্ছেন এবং সেই ঘুম কেমন হচ্ছে এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। হারপার তাঁর বইতে লিখেছেন দিনের বেলা অল্প কিছুক্ষণের জন্যে ঘুমিয়ে নেওয়াকে আমরা ক্যাটন্যাপ বলি। তবে এই কাটন্যাপ খনিকের। রাতের ঘুমই আসল। তাই সময়মতো ঘুমোতে হবে ও সময়মতো ঘুম থেকে উঠতে হবে। রাতে যাতে গভীর ঘুম হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
২. হাঁটাচলা করুন
আমরা অনেকেই প্রচুর সময় বসে কাটাই। এই বসে থাকাটা বা বসে একটানা কাজ করাটা স্বাস্থ্যের জন্য একদম ভালো নয়। তাই আমাদের হাঁটাচলা করতে হবে। হারপার তাঁর বই লিখতে গিয়ে অসংখ্য মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এদের মধ্যে অনেকেই এক শতাব্দী কাল ধরে বেঁচে আছেন। আর তিনি আশ্চর্যজনকভাবে দেখেছেন, তাঁদের সবার মধ্যেই একটি জিনিসের মিল। সেটা হল তাঁরা প্রচুর হেঁটেছেন।
৩. লিভারকে বিশ্রাম দিন
লিভার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অতিরিক্ত মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকুন। তিনি বইতে লিখেছেন, রোজ রেড ওয়াইন খাওয়া যাবে না। অন্তত সপ্তাহে দু'দিন বিশ্রাম দিতে হবে লিভারকে।
৪. জিন সম্পর্কে জানুন
জিনঘটিত রোগ অনেকেরই হয়ে থাকে। যার মধ্যে রক্তচাপ, থাইরয়েড, সুগার অন্যতম। আপনার পরিবারের বা বংশের অন্যান্য সদস্যদের অসুখ-বিসুখের ইতিহাস জানা থাকলে আগে থেকেই নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে বদল আনুন আপনার দিন-প্রতিদিনের কাজে।
৫. কার্বোহাইড্রেট বেশি খাওয়া চলবে না
হারপার তাঁর বইতে লিখেছেন, 'আমি সব সময় রিফাইন বা মসৃণ কার্ব না খেয়ে একটু জটিল কার্ব খাওয়ার কথা বলে থাকি। যেমন বাদামী চাল (ব্রাউন রাইস), আস্ত শস্যদানা সমেত মোটা আটার রুটি প্রভৃতি।
৬. প্রতিদিন হাসুন
সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা হাসিখুশি থাকাটাও খুব জরুরি। এটা টনিকের মতো কাজ করে। মন খুলে হাসুন। যাদের সঙ্গে হাসিখুশি থাকেন, তাঁদের সঙ্গেই বেশি করে সময় কাটান। হাসির জন্য লাফিং ক্লাব না গেলেও চলবে। মজার সিনেমা দেখুন, হাসির বই পড়ুন। এমন কিছু করুন যা প্রতিদিন আপনাকে হাসিখুশি রাখবে।
৭. নিজেকে চাপমুক্ত রাখুন
রোজকার কাজের চাপ আমাদের নানা ধরনের স্ট্রেসের মধ্যে ফেলে দেয়। যার ফলে অবসাদ, উদ্বেগের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। এর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর। সেটা শারীরিক ও মানসিক দুটোই হতে পারে। হারপার তাঁর বইতে লিখেছেন, আমাদের জীবনে স্ট্রেস আসবেই। তবে তার থেকে বেরনোর, তা কাটিয়ে ওঠার উপায়ও আমাদেরকেই খুঁজে নিতে হবে।