গর্ভধারণ করতে গিয়ে অনেক দম্পতিই এখন নানা সমস্যার সম্মুখীন হন। এর মধ্যে বন্ধ্যাত্ব খুব কমন। ভারতে এই সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ভারতে ২২ থেকে ৩৩ মিলিয়ন দম্পতি গর্ভধারণ করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর জন্য মূলত দায়ী আমাদের রোজকার জীবনযাপন। রোজ আমরা এমন কিছু অভ্যাসের মধ্যে দিন কাটাই যা মোটেই শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই ডায়াবিটিস,রক্তচাপের মতো নানারকম রোগ আগের তুলনায় বেড়েছে। তেমনই বেড়ে গিয়েছে বন্ধ্যাত্ব ও গর্ভধারণের সময় নানারকম সমস্যা। নিজেদের শিশুকে পৃথিবীতে আনার আগে কেউই অপ্রীতিকর সমস্যায় পড়তে চান না। তাই এর জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলাও জরুরি। প্রতিদিনের রুটিনে কিছু অভ্যাস পাল্টালেই আর এমন সমস্যা দেখা দেবে না।
১. অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন তিরিশের পর নানারকম রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তেমনই একটি হল বন্ধ্যাত্ব। ওজন বেড়ে গেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই কারণেই গর্ভধারণে জটিলতা দেখা দেয়।
২. বয়স: বয়স গর্ভধারণের সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। বেশি বয়সের দম্পতির মধ্যে গর্ভধারণের সমস্যা বেশি। কারণ বয়স বাড়লে নানা রোগ দেখা দিতে থাকে। এর থেকেই বাড়ে জটিলতা। বেশি বয়সের দম্পতিরা এক বছরের মধ্যে গর্ভধারণ করতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম: রোজকার কাজের চাপে ব্যায়াম করার সময় পাওয়া যায় না। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম মিটিয়ে দিতে পারে গর্ভধারণের জটিলতা। ব্যায়াম করলে শরীর থেকে এনডরফিন হরমোন ক্ষরিত হয়। হরমোনটি মন ও দেহ রিল্যাক্স রাখে। একইসঙ্গে ওজন কমায়।
৪. অতিরিক্ত চাপ: যুগ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে জীবনের গতি। তার সঙ্গে জুটেছে নানারকম কাজের চাপ। বাড়ি থেকে অফিস সবদিকই সামলাতে হয়। অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক চাপের কারণে হরমোনের কাজ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়। এর থেকেই বন্ধ্যাত্বের আশঙ্কা বাড়ে।
৫. ধূম ও মদ্যপান: ধূম ও মদ্যপানের কারণেও কমে যায় গর্ভধারণের ক্ষমতা। রোজ ধূম ও মদ্যপান করলে কর্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর থেকেই জটিলতা তৈরি হয়।
৬. ক্যানসারের চিকিৎসা: ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন নিলেও দেখা দিতে পারে গর্ভধারণের জটিলতা।
৭. মোবাইল, কমপিউটার: রোজকার জীবনে আমরা বেশ কিছু বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার করি। এই যন্ত্রগুলোর তড়িৎ চুম্বকীয় প্রভাব শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।