বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে বাড়ছে জলতল। আর তার প্রভাব পড়তে চলেছে দেশের উপকূলবর্তী শহরগুলির উপর। কয়েক বছরের মধ্যেই দেশের অনেকগুলি শহরের বিরাট অংশ জলের তলায় চলে যেতে পারে। এমনই বলছে হালের রিপোর্ট।
সম্প্রতি RMSI নামক সংস্থার দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, আগামী বছর ২০-র মধ্যে দেশের বহু অংশেই জলতল মারাত্মকভাবে বাড়তে পারে। মুম্বইয়ের কোন কোন জায়গা জলের তলায় চলে যাবে, তাও আলাদা করে বলা হয়েছে এই রিপোর্টে।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে কোন এলাকা কতটা উঁচুতে আছে, তার উপর ভিত্তি করেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তবে মুম্বই বা অন্য শহরের থেকে কলকাতার বিপদের মাত্রা বেশি হতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
সম্প্রতি এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর জানিয়েছেন, আগামী ১২ বছরেই কলকাতার বেশ কিছু অংশ জলের নীচে চলে যেতে পারে। তাঁর মতে, জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে তো বটেই, তার পাশাপাশি শহর কলকাতার বেশির ভাগ অংশই নরম মাটির উপর দাঁড়িয়ে। জলস্তর বাড়তে থাকলে এই মাটি আর নড়বড়ে হয়ে যাবে। তাতে ধ্বসে পড়তে পারে শহরের বড় অংশ।
এর আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের Intergovernmental Panel for Climate Change বা IPCC-র তরফেও একই ধরনের রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল।
কী কী বলা হয়েছিল সেখানে?
- বলা হয়েছে, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা আগামী সময়ে প্রচুর পরিমাণে বাড়তে পারে। ভয়াবহ বন্যা হতে পারে কলকাতা-সহ আশপাশের শহরগুলিতে।
- কলকাতা ছাড়া সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে রয়েছে পৃথিবীর আরও বেশ কয়েকটি শহর। এর মধ্যে রয়েছে টোকিয়ো, ওসাকা, করাচি, ম্যানিলা, তিয়ানজিন, জাকার্তা।
- ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ২০টি বড় শহর জলের তলায় চলে যেতে পারে। এই তালিকায় রয়েছে কলকাতা।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিলেন, এর ফলে শুধু কলকাতা নয়, ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ডুবে যেতে পারে দেশের আরও ২০টি বড় শহর। সুন্দরবনের অবস্থা তার আগে থেকেই খারাপ হতে পারে। সেখানকার বাস্তুতন্ত্র ভাঙতে শুরু করেছে। কলকাতার আগেই এই এলাকা সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যেতে পারে।
২০৪০ সালের পর থেকে যে কোনও সময়ে পুরোপুরি জলমগ্ন হয়ে যেতে পারে কলকাতা। এমনই বলা হয়েছিল সেই রিপোর্টে।