অক্টোবর মাসে প্রয়াত হন ‘ফ্রেন্ডস (Friends)’- খ্যাত অভিনেতা ম্যাথিউ পেরি (Matthew Perry) । নিজের বাড়িতে সুইমিং পুলে তাঁকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় (Matthew Perry death)। কিন্তু আচমকা তাঁর মৃত্যু হল কেন? তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। অবশেষে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। এবার সেই তদন্তের মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল।
কীভাবে মৃত্যু হয়েছে ম্যাথিউর?
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কেটামাইন নামের একটি মাদকের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়। মাদকটি আদতে নিষিদ্ধ। কিন্তু এই মাদক অতিরিক্ত সেবন করার জন্যই মৃত্যু হয়েছে ম্যাথিউয়ের। মাদক সেবনের পর তিনি সুইমিং পুলে নামেন। মৃত্যুর অন্যতম কারণ জলে ডুবে যাওয়া।
(আরও পড়ুন: JioTV দেখতে এবার টাকা লাগবে, জানুন Premium সাবস্ক্রিপশনের অফার ও প্ল্যান)
কেটামাইন (Ketamine usage) আদতে কী কাজে লাগে?
অবৈধভাবে কাউকে অজ্ঞান করে দিতে এই ড্রাগের জুড়ি মেলা ভার। অনেক সময় চিকিৎসকরা অপারেশন টেবিলে এই মাদক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও নেশাড়ুদের মধ্যে উচ্চমানের মাদক হিসেবে বিখ্যাত কেটামাইন। কারণ এই ড্রাগ সেবনে তীব্র হ্যালুসিনেশন (hallucination) হয়। চোখের সামনে অবাস্তব ঘটনার ভ্রম তৈরি হয়। কিছুক্ষেত্রে মানসিক চিকিৎসার কাজেও এই মাদক কাজে লাগে।
কেটামাইন কি সত্যি নিষিদ্ধ (Ketamine ban)?
পরিমাণের উপর নির্ভর করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (U.S. Food and Drug Administration) এই মাদক ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছে। কিন্তু খুব কম মাত্রায় এই কেটামাইন ব্যবহার করা যাবে। এফডিএ (FDA)-এর নির্দেশ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি কোনওমতেই ব্যবহার করা যায় না কেটামাইন।
(আরও পড়ুন: এক রকম নয়, ৪ উপায়ে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী! জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা)
অবসাদ কমাতে কেটামাইন (Ketamine in depression)?
মানসিক অবসাদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় কেটামাইন। কিন্তু নাসাল স্প্রে হিসেবেই এটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে এফডিএ। যেসব ক্ষেত্রে অবসাদ কমাতে অন্য উপায় কাজে লাগছে না, সেসব ক্ষেত্রেই এটি ব্যবহারের অনুমতি আছে। কিন্তু যত দিন গিয়েছে নিয়ম না মানার হার বেড়েছে। অনেকেই অবসাদ কমাতে যখন তখন যেমন ইচ্ছে কেটামাইন ব্যবহার করেন।
কেটামাইন বেশি সেবন করলে কী হয় (Ketamine harmful effects)?
প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট। এই মাদক এতটাই ভয়ঙ্কর যে পরিমাণের থেকে অল্প বেশি হলেই ফুসফুসের বিপদ। সরাসরি শ্বাসযন্ত্রে গিয়ে আঘাত করে এই মাদক। তীব্র শ্বাসকষ্টের পর সেবনকারীর মৃত্যু্ও হতে পারে। যেমনটা হয়েছে ম্যাথিউয়ের।
অভিনেতা তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছেন এই মাদকের ভয়ানক আসক্তির কথা। কীভাবে দিনের পর দিন তিনি লড়াই করেছেন এই নেশা ছাড়াতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতেই মৃত্যু হয়েছে ম্যাথিউয়ের।