এক জনের শরীরে মাংকিপক্সের সংক্রমণ পাওয়া গেল। বহু বছর এই অসুখটির কোনও সন্ধান ছিল না। কিন্তু অতীত থেকে নতুন রূপে ফিরে এল এই ভাইরাস। আর তাতেই নানা ধরনের আশঙ্কায় রয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
কোথায় পাওয়া গিয়েছেন মাংকিপক্স:
সম্প্রতি ইংল্যান্ডে এক জনের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। হালে তিনি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই রোগটিতে তিনি সংক্রমিত হয়েছেন বলে আশঙ্কা।
প্রথম কবে পাওয়া গিয়েছিল মাংকিপক্স:
১৯৫৮ সালে প্রথম এই রোগটির সন্ধান পাওয়া যায়। পক্সের মতোই এক অসুখে আক্রান্ত হয়েছিল বেশ কিছু বাঁদর। সেখান থেকেই এই রোগটির নামকরণ।
কী এই মাংকিপক্স ভাইরাস:
এটি এক ধরেনর zoonosis অসুখ। অর্থাৎ অন্য প্রাণীদের থেকে এটি মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। এই ভাইরাসটির ক্ষেত্রে বাঁদরের থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয় রোগটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র মতে, ক্রান্তীয় এলাকার জঙ্গলে বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে এই জাতীয় ভাইরাস পাওয়া যায়।
এর উপসর্গগুলি কী কী:
স্মলপক্সের মতোই উপসর্গ দেখা যায় এতে। যদিও তার ভয়াবহতা স্মলপক্সের তুলনায় কম।
- জ্বর
- মাথাব্যথা
- পেশির ব্যথা
- পিঠে ব্যথা
- ক্লান্তি
- কাঁপুনি
মোটামুটি এমন উপসর্গই দেখা যায় এই রোগের ক্ষেত্রে।
কীভাবে ছড়ায় এই মাংকিপক্স:
বিজ্ঞানীরা বলছেন, সংক্রমিত বা বাহক প্রাণীর থেকে জীবাণুটি মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে। ১৯৭০ সালে কঙ্গোয় প্রথম মানুষের শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ টের পাওয়া যায়। তার পরে আফ্রিকার বহু দেশেই ছড়িয়েছে এটি। পরে আমেরিকা, ইজরায়েল, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুরেও এই ভাইরাসের সংক্রমণ টের পাওয়া গিয়েছে।
মাংকিপক্সের চিকিৎসা:
স্মলপক্সের টিকা ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে মাংকিপক্সের বিরুদ্ধে কাজ করে। এমনই বলছে পরিসংখ্যান। কিন্তু ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে তা করে না। এখনও পর্যন্ত এই অসুখের কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ বা চিকিৎসাপদ্ধতি নেই।