ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের শোকের উৎসব মহরম চলেই এল বলে। ইসলামের চান্দ্র ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রথম মাসটি হল মহরম। মহরমের দশম দিনটি হল ‘আশুরা’। এই দিনটিতে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমরা শোকের উৎসব পালন করেন। আশুরায় অনেকেই রোজা পালন করেন। তবে সবাই এই উৎসবের দিন রোজা রাখেন না। সেক্ষেত্রে আশুরায় রোজা কবে থেকে পালিত হবে তা নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ রয়েছে। ধন্দ কাটাতে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
(আরও পড়ুন: লাল লাল চেরির মধ্যে লুকিয়ে ‘দামি’ টমেটো! খুঁজে বার করতে পারলেই বিশেষ পুরস্কার)
প্রসঙ্গত, মহরম মাসে আশুরার জন্য রোজা রাখতে শুরু করেন ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের অনেকে। শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমরা প্রতি বছর এই দিনটি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেন। মহরমের দশম দিনে তারা তাই রোজা রাখেন। চলতি বছরে ইংরেজি জুলাই মাসের ২৮ তারিখ এই দিনটি পালন করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রের খবর মাসের শেষের দিকে ২৮ তারিখ এই দিন। প্রসঙ্গত, এই দিনটির জন্য ইতিমধ্যেই প্রতিবেশী দেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এই মর্মে জানান, গত ১৯ জুলাই জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছে। তার পর থেকে শুরু হয়েছে মহরম মাস। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে এই মাসের দিন গণনা। সেই গণনার নিরিখে ২৯ জুলাই আশুরার তারিখ পড়েছে।
(আরও পড়ুন: বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে দশা হেঁশেলের ! ৪ উপায়ে ভালো রাখুন আপনার রান্নাঘর)
মূলত কারবালা প্রান্তরে হোসেইন ইবনে আলি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের শাহাদত বরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে পালন করা হয় শোকের উৎসব আশুরা। প্রায় ১৪০০ বছর আগে হজরত মহম্মদের নাতি ইমাম হোসেইন ইবনে আলি আচমকাই একটি অসম সংঘর্ষের সম্মুখীন হন। সেখানে তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তৃষ্ণার্ত অবস্থায় প্রাণ হারান। এই ঘটনাকে স্মরণে রেখেই পালন করা হয় আশুরা। শুধু ভারত বা বাংলাদেশ নয়, অনেক ইসলাম ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত দেশেই এই দিনটি পালন করা হয়ে থাকে।
চলতি বছরে বাংলাদেশের মতোই ভারতে ২৯ জুলাই পালন করা হবে আশুরা। ভারতেই এই দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই দিন শিয়া মুসলিমরা তাজিয়া নিয়ে পদযাত্রা করে থাকেন। খুশির ইদ বা কোরবানির মতো করে এই মহরম পালন করা হয় না। কারণ এই দিন মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে শোকের দিন। তাই এই দিন মূলত দান ধ্যানের মাধ্যমেই চলে শোক পালন।