Science News: ভারতের উত্তর ভাগের ভৌগোলিক ইতিহাস সম্পর্কে বড় আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের। কী বলছেন তাঁরা?
1/6 পুজোর ছুটি হোক কিংবা গরমের ছুটিই হোক, বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা হল পাহাড়। বিশেষ করে হিমালয়। উত্তরবঙ্গ তো আছেই, হাতে একটু বেশি সময় থাকলে উত্তর ভারতের হিমালয়ের দিকে রওনা। সোয়েটার, গরম জামা বেঁধে নিয়ে ঠান্ডা উপভোগ করতে যাওয়া। কিন্তু জানেন কি, ‘কয়েক বছর’ আগে হলে এই সুযোগ পেতেন না? তখন গরম জামা নয়, সমুদ্র স্নানের পোশাক নিয়ে যেতে হত এসব জায়গায়।
2/6 কুমায়ুন হিমালয়ের ইতিহাস সম্পর্কে এমনই এক তথ্য জানাল ভারতীয় এবং জাপানি বিজ্ঞানীদের একটি দল। পাহাড় নয়, এসব জায়গায় ছিল আস্ত মহাসাগর। পাহাড়ের খাঁজে খাঁজে এখনও তার পুরোদস্তুর প্রমাণ বজায় রয়েছে। কিন্তু কখন ছিল এই মহাসাগর?
3/6 ‘কয়েক বছর’ শুনে সত্যি ভাববেন না। আসলে এই ‘কয়েক বছর’ হল প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি বছর আগের কথা। সে সময়ে কুমায়ুন হিমালয়ের বর্তমান অবস্থানের জায়গাটি জুড়েই ছিল মহাসাগরটি। তবে মহাসাগর বলতেই যেমন জলোচ্ছ্বাসের কল্পনা চলে আসে, তেমন টলটল জলের সাগর সেখানে নাও থাকতে পারে। সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিজ্ঞানীরা।
4/6 বর্তমানে যে অংশে দেরাদুন থেকে গঙ্গোত্রী বিস্তৃত— সেই অংশেই এই মহাসাগর অবস্থিত ছিল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। পাথর আর জলের মিলেমিশে তৈরি হওয়া এই সাগরের এক সময়কার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে এই এলাকার মাটি এবং পাথরের মধ্যে।
5/6 বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এবং জাপানের নিগাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে এটি আবিষ্কার করেছেন। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, এই এলাকায় বড় সড় একটি মহাসাগর এক সময় ছিল। তার প্রমাণ এখানকার পাথর ও মাটির মধ্যে থাকা জীবাষ্ম।
6/6 কিন্তু মহাসাগর না হয় ছিল, কিন্তু তার জল কোথায় গেল? বিজ্ঞানীদের মত, ভূ-আন্দোলনের ফলে দু’দিক চাপ পড়ে হিমালয়ের সৃষ্টি যখন হচ্ছে, তখন সেই মহাসাগরের জল ধীরে ধীরে ক্রিস্টালে পরিণত হয়। পাথরের খাঁজে খাঁজে এখন তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়ে গিয়েছে।