আর চার পাঁচটা পটুয়া পাড়ার মতোই জয়নগরের পটুয়া পাড়ার ব্যস্ততাও এখন তুঙ্গে। সবাই এখন ব্যস্ত দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরি করতে। সব শিল্পীই তাঁদের অন্যান্য সব কাজ, এমনকি নাওয়া, খাওয়াও ভুলে গিয়েছে। সবার কেবল এখন এক দিকেই ধ্যান, জ্ঞান। সেটা হল দুর্গা প্রোটিন। উমা আসছে বলে কথা, আর সেই কারণেই তো জয়নগরের পটুয়া পাড়ায় ব্যস্ততা চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। শিল্পী হোক কিংবা তাঁর সহকারী সকলেই খুব ব্যস্ত। দারুন চাপ সকলের।
এখন যে কত কাজ, প্রতিমা রঙ করা, তাঁকে সাজানো, চক্ষুদান, সহ সব। এই পটুয়া পাড়ায় আছে ২৫টি পরিবার, সেই সব শিল্পী পরিবারেই এবার হাসি ফুটেছে। সেখানে গেলেই দেখা যাচ্ছে মহিলাদের কাঠামো বাঁধা, জলের প্রলেপ দেওয়ার দৃশ্য। শিল্পী দক্ষ হাতের কারুকাজে ফুটছে দেবীর চিন্ময়ী রূপ।
গত দুই বছর নেহাতই ভোগান্তি গিয়েছে। করোনার কারণে তেমন বড় পুজো হয়নি, ফলে তেমন বায়না আসেনি, হয়নি তেমন ব্যবসাও। কিন্তু এবারের ছবি একদম আলাদা। আর তাই তো আগের মতোই বায়না পেয়ে জয়নগরের পটুয়া পাড়ার শিল্পীরা ভীষণই খুশি।
গত দুই বছরের সমস্ত খরা কেটে গিয়েছে। কিন্তু এবার অন্য এক সমস্যা চোখ রাঙাচ্ছে। আর সেটা হল মূল্যবৃদ্ধি। পুজো উদ্যোক্তাদের মাথায় হাত পড়েছে প্রতিমার দাম শুনে। এদিকে শিল্পীদেরও যে হাত পা বাঁধা, সব জিনিসের দাম বেড়েছে। ফলে তাঁদের খরচও বেড়েছে অনেকটাই। ফলে প্রতিমার দাম বাড়ানো ছাড়া তাঁদের আর উপায় নেই। কিন্তু সে যাই হোক, পুজো আসছে, তাই সবাই এক তুচ্ছ। সবাই উমার আসার আনন্দে মাতোয়ারা।