পুজোয় ঘুরতে যাবেন কিন্তু ট্রেনের টিকিট নেই? সামান্য খরচে চলে যান এই ৫ জায়গায় Updated: 22 Sep 2022, 05:22 PM IST Tulika Samadder গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 1/6 পুজোয় ব্যাগপত্তর গুছিয়ে ঘুরতে যাওয়া বাঙালির কাছে একটা আবেগ। তবে এখন টিকিটের যা হাল অনেকেই পুজোতে ঘুরতে যাওয়ার কথা ভাবতেই পারছেন না। আবার কেউ কেউ আছে উঠলো বাই তো কটক যাই! মানে এই মহালয়ার কদিন আগে এসে ভাবছেন ঘুরতে যাবেন। তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদন। ট্রেনের বুকিং না পেলেও যাওয়া সম্ভব এই জায়গায়। শুধু আপনাকে চড়াতে হবে ট্রেনের জেনারেল কমপার্টমেন্টে, নিতে হবে বাস, কখনো বা ভাড়ার গাড়ি। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 2/6 পুরুলিয়া যে নিজে না গেছে, সে বুঝবে না কতটা সুন্দর হতে পারে এই জায়গা। পাহাড়, ঝর্না, সবুজের সমারোহ, ড্যাম মিলিয়ে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। ট্রেনে যেতে ৬ ঘণ্টামতো সময় লাগে। তাই বুকিং না পেলেও ট্রেনের জেনারেল কমপার্টমেন্টে চলে যেতে পারেন। ধর্মতলা থেকে পুরুলিয়া যাওয়ার বাসও পাবেন অনেক। ঘুরে নিন সীতা কুন্ড, ময়ূর পাহাড়, দুর্গা বেরা, মারবেল লেক, আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম, বামনী ফলস, টুর্গা ফলস, টুর্গা ড্যাম। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 3/6 পুজোতে ফাঁকায় ফাঁকায় সমুদ্রের ধারে সময় কাটাতে চাইলে সোজা চলে যান চাঁদিপুর বিচ। হাওড়া স্টেশন থেকে ধৌলি এক্সপ্রেস ধরুন। জেনারেলে চড়েই যেতে পারবেন, কারণ সময় লাগে মাত্র ঘণ্টা তিনেক। নামতে হবে বালাসোর (বালেশ্বর)। স্টেশন থেকে অটোভাড়া করে যেতে হবে চাঁদিপুর বিচ। সমুদ্রের মজা তো নিতেই পারবেন, সঙ্গে কাছেই সিমলিপাল। অতদূর না গেলেও কাছে পুরনো রাজপ্রাসাদ, হাতির জন্য সংরক্ষিত জঙ্গল, মন্দির এসব তো আছেই। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 4/6 রাঢ় বঙ্গের স্বাদ নিতে চোখ বুঝে চলে যান পুরুলিয়ার গরপঞ্চকোটে। শাল, পিয়াল, আর ঘন মহুয়ার জঙ্গলে ঘেরা এই জায়গা ১-২ দিনের ট্যুরের জন্য আদর্শ। পাঞ্চেত পাহাড়ের একদিকে পাঞ্চেত বাঁধ আর অন্যদিকে গড়পঞ্চকোট দূর্গের ধ্বংসাবশেষ এখানকার মূল আকর্ষণ। হাতে সময় থাকলে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে নিন বিহারীনাথ পাহাড়, বড়ন্তি পাহাড়, মুরারডি লেক, বিরিঞ্চিনাথের মন্দির, কল্যানেশ্বরী মন্দির ও জয়চন্ডী পাহাড়। আসানসোল থেকে ৩০ কিলোমিটার। বাসেই পৌঁছনো সম্ভব। বাইকে করে যারা ঘুরতে ভালোবাসেন তাঁরা যেতে পারেন সহজেই। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 5/6 ঝাড়গ্রাম মানেই শাল-পিয়ালের গন্ধ। পাহাড়ের কোলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে বসে আছে বেলপাহাড়ি। দেখুন ঘাঘরা জলপ্রপাত, গাডরাসিনি পাহাড়, খান্দারানি জলাধার, কাঁকড়াঝোড় ফরেস্ট, ঢাঙিকুসুম। একদম লাল মাটিতে কাটাতে মন্দ লাগবে না কিন্তু। কলকাতা থেকে ট্রেন বা বাসে ঝাড়গ্রাম পৌঁছে, সেখান থেকে গাড়ি করে বেলপাহাড়ি যান। হাওড়া থেকে অনেক লোকাল ও মেল ট্রেন যায়। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন 6/6 পুজোয় তো বলছে বৃষ্টি হবে। সেক্ষেত্রে পাহাড়-জঙ্গলের চেয়ে বাবা সমুদ্রই ভালো। চলে যান বকখালি। ডায়মন্ড হারবার রোড দিয়ে যেতে হয়। এখানের সমুদ্র সৈকতটি বিখ্যাত লাল কাঁকড়ার জন্য। রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য এবং উন্মুক্ত চিড়িয়াখানা। কুমীর প্রকল্পটিও ঘুরে দেখে নিন। মাছপ্রেমীদের তো স্বর্গরাজ্য। বকখালি থেকে যেতে পারেন হেনরিজ আইল্যান্ডে। শান্ত সমুদ্র, মনোরম আবহাওয়া, বিচ রিসর্টে কখন সময় কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না। হেনরিজ আইল্যান্ডে থাকলে যেতে ভুলবেন না জম্বুদ্বীপ নৌকা চড়ে। গুগল নিউজে আমাদের পড়ুন