এই খেলে করোনা সংক্রমণ কমে, ওই খেলে করোনার জীবাণু মরে— এমন বহু তত্ত্ব গত দু’বছরে নেহাত কম ওড়েনি। কিন্তু কোনওটিই খুব যুক্তিসঙ্গত এবং জোরদার দাবি কিছু করতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে করোনা আটকানোর সবচেয়ে কার্যকর রাস্তা হিসাবে টিকার কথাই বলছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এর পরেও নানা গবেষণায় উঠে আসা নানা নতুন নতুন তথ্য। হালেও যেমন উঠে এসেছে একটি। আর তাতে রীতিমতো খুশি হতে পারেন সুরাপ্রেমীরা।
হালে ইংল্যান্ডের বিজ্ঞানীদের একটি দল কোভিডের জীবাণুর উপর মদ্যপানের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখান থেকে উঠে এসেছে অথি আশ্চর্য একটি তথ্য। তাতে দেখা গিয়েছে, ওমিক্রন-সহ কোভিডের অন্য রূপগুলির উপর অ্য়ালকোহলের আশ্চর্য প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে একটি পানীয় কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা বেশ খানিকটা কমিয়ে দিতে পারে।
এই বিশেষ পানীয়টি হল রেড ওয়াইন। এমনকী হোয়াইট ওয়াইন এবং শ্যাম্পেনও একই ধরনের উপকার করে। কী কী জানা গিয়েছে গবেষণা থেকে?
- সপ্তাহে এক থেকে চার গ্লাস রেড ওয়াইন খেলে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
- সপ্তাহে পাঁচ গ্লাস বা তার বেশি ওয়াইন খেলে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা ১৭ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।
- হোয়াইট ওয়াইন পান করলেও কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা কমে। কিন্তু তার মাত্রা রেড ওয়াইনের থেকে কম।
- তার চেয়েও কিছুটা কম শ্যাম্পেনে।
তাহলে কি অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় খেলেই করোনা থেকে নিরাপদ? মোটেই তা নয়, ইংল্যান্ডের এই গবেষক দলের প্রতিনিধিরা বলছেন, এই গুণ শুধুমাত্রই রয়েছে ওয়াইনে। এর বদলে কেউ যদি বিয়ার বা হুইস্কি জাতীয় পানীয় পান করেন, তার লাভ তো হবেই না, উল্টে ক্ষতিই হবে।
যেমন বিয়ার খেলে করোনা সংক্রমণ বা তা হওয়া জটিলতার মাত্রা ৭ থেকে ২৮ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। হুইস্কির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
তাহলে কি এবার থেকে করোনা থেকে বাঁচার জন্য রেড ওয়াইন খেলেই হবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বিষয়টি অত সহজ নয়। বেশি পরিমাণে রেড ওয়াইন করোনার আশঙ্কা হয়তো কমবে, কিন্তু অন্য অসুখের আশঙ্কা বাড়বে। তাই মাত্রাতিরিক্ত ওয়াইন পান মোটেই কাজের হবে না।