সারাদিনের কাজের চাপে জেরবার মন ও শরীর। স্ট্রেস কমাতে তাই অনেকে নিয়মিত মদ্যপান করেন। তবে দীর্ঘ সময় ধরে অ্যালকোহন পান করলে লিভার ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি হয়। তাছাড়া অ্যালকোহলের জন্য পুরুষদের যৌনক্ষমতা অনেকটাই কমে যেতে পারে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকদের কথায়, শুধু যৌনক্ষমতা কমে যাওয়া নয়, পাশাপাশি গুরুতর যৌন সমস্যাও দেখা দিতে পারে। বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে, শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়ার পিছনে প্রধান কারণ হল পুরুষদের নিয়মিত মদ্যপান।
দীর্ঘ সময় ধরে অ্যালকোহল পান করলে কী কী ক্ষতি হতে পারে, সেই নিয়ে বিস্তারিত হদিশ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরাই।
১. ইরেকটাইল ডিসফাংশন: অ্যালকোহল পান করার জন্য পুরুষদের যৌনজীবনে ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যায় সঠিক সময়ে যৌনাঙ্গ কঠিন হয় না। ফলে মিলনে অতৃপ্তি থেকে যায়। মস্তিষ্কের যে অংশ যৌনাঙ্গকে নিয়ন্ত্রণ করে, অ্যালকোহল সেই অংশকেই দুর্বল করে দেয়। যৌনজীবনে এর প্রভাব পড়ে।
২. হঠাৎ বীর্যপাত: মিলনের সময় দুজন সঙ্গীর মধ্যে সময়ের বোঝাপড়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে অ্যালকোহল পান করলে মস্তিষ্কের যৌনাঙ্গ নিয়ন্ত্রক অংশটি সঠিক সময়ে সাড়া দেয় না। এর ফলে সময়ের আগেই বীর্যপাত হয়। অথবা বীর্য ক্ষরিতই হয় না।
৩. যৌনরোগের আশঙ্কা: চিকিৎসকদের কথায়, মদ্যপ অবস্থায় মিলনে অংশ নিলে যৌনরোগের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যায়। নিয়মিত মদ্যপান বা মিলনের আগে মদ্যপান করলে প্রায়ই ভারসাম্য রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তখন পুরুষসঙ্গী সঠিক নিরাপত্তা ছাড়াই মিলনে আগ্ৰহ দেখান। এমন ঝুঁকি নিলে রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
৪. টেস্টোস্টেরন হরমোনের উৎপাদন কমায়: দীর্ঘ সময় ধরে অ্যালকোহল পান করলে শরীরের বিভিন্ন হরমোনের উপর তার প্রভাব পড়ে। শরীরের কিছু স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যৌন হরমোন টেস্টোস্টেরন উৎপন্ন হয়। অ্যালকোহল পান করলে এই প্রক্রিয়ায় বাধা তৈরি হয়। এতে টেস্টোস্টেরনের উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে শুক্রাণুর সংখ্যাও কমে যেতে থাকে।