হাসপাতালে বহু রোগীকেই অক্সিজেন দিতে হয়। শুধু হাসপাতালে কেন, বাড়িতেও বহু রোগীর অনেক সময়েই অক্সিজেনের দরকার হয়। বিশেষ করে করনোকালে এর প্রয়োজন আরও বেড়েছে। কিন্তু যে পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়, সেটি মোটেও ঠিক নয়। এমনই দাবি করেছেন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এই হাসপাতালের তিন চিকিৎসক নিজেদের গবেষণাপত্রে অক্সিজেন দেওয়ার নতুন পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন।
প্রচলিত কায়দা কীভাবে দেওয়া হয় অক্সিজেন?
নাকে নল বা অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে শরীরে অক্সিজেন দেওয়া হয়। সাধারণত ঠান্ডা জলের বোতলের মধ্যে দিয়ে এই অক্সিজেন চালানো হয়। এভাবে ঠান্ডা জলের মধ্য দিয়ে আর্দ্র অক্সিজেন দেওয়ার পদ্ধতিকে বলে ‘কোল্ড বাবল হিউমিডিফিকেশন’। অক্সিজেন দেওয়ার এই পদ্ধতিটি মোটেই ঠিক নয়। এমনই দাবি করেছেন আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। তাঁদের দাবি, এই পদ্ধতি শ্বাসনালীকে দরকার মতো আর্দ্র করে না। বরং নানা সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।
তবে একেবারে কারও যে ‘কোল্ড বাবল হিউমিডিফিকেশন’-এর দরকার নেই, তাও নয়। ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর ে থাকা রোগীদের এর দরকার হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে অক্সিজেনকে আর্দ্র করার পাশাপাশি উপযুক্ত পরিমাণে তাপ দেওয়ারও দরকার। এমনই মত তাঁদের।
সংবাদমাধ্যমকে আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসক সুগত দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, প্রচলিত পদ্ধতিতে অক্সিজেন দিলে বহু রোগীর নানা ধরনের সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ছে। আগামী দিনে তাই নতুন পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন তাঁরা।
তবে এখনই আন্তার্জিতক বা দেশীয় স্তরে এই প্রসঙ্গে কোনও প্রস্তাব ওঠেনি। তাঁদের গবেষণাপত্রটি সম্পর্কে কোনও মন্তব্যও শোনা যায়নি চিকিৎসক মহল থেকে। তাঁদের দাবি ঠিক হলে, আগামী দিনে অক্সিজেন দেওয়ার পদ্ধতি অনেকটাই বদলে যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।