বর্তমান সময় ওজন বৃদ্ধি একটি সাধারণ ঘটনা। খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাপন প্রণালী ইত্যাদি নানান কারণে আমাদের ওজন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। ওজন বাড়লে তা কমানোর জন্য কঠিন ওয়ার্ক আউট শুরু করে দিই। এখানে এমন একটি উপায় সম্পর্কে জানানো রইল, যা মেনে চললে ১০ দিনে ৫ কেজি পর্যন্ত ওজন কমতে পারে। এ ক্ষেত্রে নিজের খাদ্য তালিকায় মুগ ডাল অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
মুগডালের উপকারিতা
অধিকাংশ সময়েই অসুস্থতার সময় মুগ ডাল খেয়ে থাকি আমরা। এতে অধিক পরিমাণে প্রোটিন থাকে। মুগডালের খিচুড়ি বা অঙ্কুরটি গোটা মুগ খেলে ব্যক্তির ওজন কমানো যেতে পারে। আবার দেশী ঘিয়ের সঙ্গে খোসা-সহ মুগডাল খেলে শরীরের নানান রোগ দূর করা যায়। ওজন কম করতে চাইলে নিজের খাদ্য তালিকায় মুডাল অন্তর্ভূক্ত করুন।
কী ভাবে এই ডায়েট মেনে চলবেন?
সকালবেলা কমপক্ষে ২ গ্লাস ঈষদুষ্ণ জল পান করুন। এর ফলে শরীরের টক্সিন বেরিয়ে যায় এবং শরীর হাইড্রেট থাকে। জল পান করার এক ঘণ্টা পর যোগাসন বা প্রাণায়াম করুন।
মুগ ডাল সুপ
ডায়েটের প্রথম দিন মুগডাল সুপ তৈরি করুন। দিনে ৬ বার এই সুপ পান করুন। মুগডালের মধ্যে আদা, নুন, হিং, মৌরী, ধনে, কাঁচালঙ্কা দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। তিন দিন এ ভাবেই মুগডালের সুপ পান করুন। প্রথম দিন দুর্বলতা অনুভব করলে দ্বিতীয় দিন সুপের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। সামান্য মাথা ব্যথা অনুভব হতে পারে। তবে ভয় পাবেন না, ডিটক্স প্রক্রিয়ার কারণে এমনটি হয়।
কী খাবেন না
মুগ ডাল ডায়েট ফলো করলে টক জিনিস খাবেন না। এ সময় টমেটো, লেবু, দই ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। এ সময় ঘি এবং তেল এক্কেবারেই খাবেন না।
চা বা কফি পান করতে পারেন
রিফ্রেশমেন্টের জন্য চিনি ছাড়া চা বা কফি পান করতে পারেন। এ ছাড়া সারাদিনে ৮-১০ গ্লাস জল পান করা উচিত।
৫ দিন এই ডায়েট মেনে চলুন
মুগডালের সুপের সঙ্গে সবজিও নিজের ডায়েটের অন্তর্ভূক্ত করুন। সবজি সেদ্ধ ও স্টিম করে স্যালাড হিসেবে খেতে পারেন। গাজর, শশা, বিট, মূলো, শালগম, লাউ, পেঁয়াজ, কুমড়ো ইত্যাদি খেতে পারেন।
যা অবশ্যই মনে রাখবেন
- খিদে অনুযায়ী সুপ ও সবজি খান।
- সকালে ভারী খাবার ভালোবাসলে সেদ্ধ সবজি খান।
- প্রাতঃরাশে সবজি খাওয়ার পর মুগডাল সুপ পান করুন।
সুপের সঙ্গে মুগডালের চিলা বানিয়ে খান। মুগডাল বাটার মধ্যে পেঁয়াজ, আদা, টমেটো, নুন দিয়ে মিশিয়ে নিন। এর পর চাটুর ওপর তেল লাগিয়ে এই ব্যাটারটি ছড়িয়ে চিলা বানান। দিনে তিনবার একটি করে চিলা খান ও ৬ বার সুপ পান করুন।
ডায়েটের সময় সীমা শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ খাবার-দাবার নিজের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করুন।
Disclaimer- এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্যের যথার্থতা ও বাস্তবিকতা সুনিশ্চিত করার যথাসম্ভব চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এর নৈতিক দায়িত্ব হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার নয়। তাই পাঠকদের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছে, যে কোনও উপায় অবলম্বনের পূর্বে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করবেন। প্রয়োজনে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পিছ পা হবেন না। আপনাদের তথ্য সমৃদ্ধ করাই আমাদের উদ্দেশ্য।