1/5রঙের উৎসবে সামিল হওয়ার আনন্দে মাতে আট থেকে আশি। পরিবার-বন্ধুদেরকে রাঙিয়ে দিয়ে চলে আনন্দ। কেউ সেদিন আবার বাড়িতেই করেন পিকনিক। খুব করে রং খেলে চলে ভুরিভোজ। তবে আপনি যদি এবারের দোলউৎসব একটু আলাদাভাবে কাটাতে চান, ঘুরে আসুন এই জায়গাগুলো থেকে। যেখানে কাটানো দোল আপনার সারাজীবন মনে থাকবে।
2/5কলকাতা থেকে সবচেয়ে কাছে শান্তিনিকেতন। বোলপুর যাওয়ার গাড়ি-বাস-ট্রেন সব পাবেন। সময় লাগবে ঘণ্টা চারেক। রং খেলার পাশাপাশি বিশ্বভারতীর সাংস্কৃতিক উৎসব দেখার সুযোগও মিলবে। তবে এই সময় শান্তিনিকেতনে লোকসমাগম হয় খুব বেশি। তাই রাতে থাকতে চাইলে এখন থেকেই হোটেল বুক করে ফেলুন। বুক করে নিতে পারেন ট্রেনের টিকিটও।
3/5বসন্তে ঘুরতে যাওয়ার জন্য পুরুলিয়াও খুব ভালো অপশন। চারদিক পলাশের রঙে রঙিন হয়ে থাকে। দোলে রং খেলার পাশাপাশি নানা ধরনের ফোক ডান্স দেখারও সুযোগ আপনি পাবেন এখানে এলে। সকালটা রং খেলে বিকেল থেকেই মাততে পারবেন ছৌ নাচ, দরবারী ঝুমুর, নাটুয়া নাচ এবং বাংলার বাউল গানে।
4/5দেশের মধ্যে খুব জনপ্রিয় মথুরা-বৃন্দাবনের হোলি। উত্তরপ্রদেশের নন্দগাঁও, বারসানায় আবার হোলির আগে থেকে শুরু হয় লাঠমার হোলি। চারদিক সাজানো হয় আবির আর ফুলের পাঁপড়ি দিয়ে। মাঝখানে বসে মাথায় মোটা পাগড়ি আর হাতে পোক্ত ঢাল নিয়ে বসে থাকেন পুরুষরা। আর ঢাল ধরা হাতে আছড়ে পড়ে মেয়েদের হাতের লাঠির ঝড়। হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, লাঠমার হোলির এই প্রথাটি ঐশ্বরিক দম্পতি রাধা কৃষ্ণের সময়কাল থেকে চলে আসছে। তাই সুযোগ পেলে ঘুরে আসতে পারেন এই জায়গাগুলো থেকেও। বিদেশীদের মধ্যেও খুব জনপ্রিয় এখানকার রং উৎসব।
5/5উদয়পুরের দোল উৎসবও খুব জনপ্রিয়। পকেটে টান সেরকম না থাকলে প্রত্যক্ষ করে আসতে পারেন। মেওয়ারের রাজ পরিবার থেকে এটির আয়োজন করা হয়ে থাকে। দোলের একদিন আগে, হোলিকা দহন হিসেবে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। দোলের দিন সকালে রাজবাড়ির ঘোড়া, ঘোড়ার গাড়ি আর ব্যান্ড নিয়ে হয় শোভাযাত্রা। রং খেলা হয় আবির, ফুলের পাঁপড়ি দিয়ে।