করোনাভাইরাস টিকা তৈরি ও গবেষণার ক্ষেত্রে নির্ধারিত পদ্ধতি মেনে চলা হচ্ছে কি? তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। শুক্রবার সে বিষয়ে লোকসভায় আশ্বস্ত করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানাল, বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগ পায়নি সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।
সংসদের নিম্নকক্ষে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে জানান, করোনার সম্ভাব্য টিকার প্রি-ক্লিনিকাল ট্রায়াল, পরীক্ষা এবং মূল্যায়নের জন্য সাতটি সংস্থাকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে নির্ধারিত পদ্ধতি থেকে অমান্য করা হচ্ছে, এমন কোনও রিপোর্ট জমা পড়েনি সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের কাছে।
ওই সাতটি সংস্থা হল -
১) সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, পুণে।
২) ক্যাডিলা হেলফকেয়ার লিমিটেড, আমদাবাদ।
৩) ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড, হায়দরাবাদ।
৪) বায়োলজিকাল ই মিলিটেড, হায়দরাবাদ।
৫) রিলায়েন্স লাইফ সায়েন্সেস, মুম্বই।
৬) অরবিন্দ ফার্মা লিমিটেড, হায়দরাবাদ। (একাধিক করোনা টিকা তৈরির জন্য কাউন্সিল ফর সেলুলার অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল রিসার্চের সঙ্গে চুক্তি করেছে অরবিন্দ ফার্মা লিমিটেড। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট তৈরি করছে ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল টেকনোলজি, চণ্ডীগড়, ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি, কলকাতা এবং সিএসআর-সেন্টার ফর সেলুলার অ্যান্ড মলিকিউলার।)
৭) জেনোভা বায়ো ফার্মাকিউটিকাল লিমিটেড, পুণে।
করোনাভাইরাসের টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় খবর দেখতে এখানে ক্লিক করুন
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন আশাপ্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের শুরুর মধ্যেই করোনাভাইরাসের টিকা পাবে ভারত। তিনি বলেছিলেন, ‘নিজেই পুরো পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে মনে রাখবে ইতিহাস। অন্যান্য দেশের মতোই ভারত চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সেই বিষয়টি দেখছে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং ভবিষ্যতের জন্যও আমরা পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছি। আমরা আশাবাদী যে আগামী বছরের শুরুর মধ্যে ভারতে টিকা পাওয়া যাবে।’