মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের ৪৪ বিধায়কের মধ্যে ১২ জনই সোমবারের আস্থা ভোটে ভোট দেননি। সময় মতো বিধানসভায় পৌঁছতে না পারার কারণেই এই বিধায়করা আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেননি বলে জানা গিয়েছে। জিশান সিদ্দিকী এবং ধীরাজ দেশমুখ আস্থা ভোট শুরু হওয়ার পরে ঢোকেন বিধানসভায়। তাঁদের দৌড়ে বিধানসভায় ঢোকার ছবি নিয়ে জোর চর্চা হয়েছে মারাঠা রাজনৈতিক মহলে। এদিকে প্রণতি শিন্ডে দেশের বাইরে রয়েছেন। অপরদিকে জিতেশ অন্তপুরকর রবিবার বিয়ে করেন, এই কারণে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।
এদিকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা মহাবিকাশ আঘাড়ি সরকারে মন্ত্রী পদে থাকা অশোক চহ্বানও দেরিতে পৌঁছান বিধানসভায়। এর কারণে তিনি আস্থা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তাঁর সঙ্গে দেরিতে বিধানসভায় পৌঁছান বিজয় ওয়াদেত্তিওয়ার। পরে জানা যায়, বহু কংগ্রেস বিধায়কই বিধানসভার লবিতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। ভোট শুরু হওয়ার মুহূর্তে অধিবেশন কক্ষের দরজা বন্ধ হয়ে গেলে টনক নড়ে তাঁদের। এই আবহে আস্থা ভোটে অংশ নিতে পারেননি কুণাল পাতিল, রাজু আওয়ালে, মোহন হাম্বারদে, মাধবরাও পাতিল জাওয়ালগাঁওকর, শিরীষ চৌধুরী এবং বিক্রম সাওয়ান্তও।
এই বিষয়ে অশোক চহ্বান বলেন, ‘সাধারণত, প্রথমে আলোচনা হয়, তারপর ভোট হয়... যাইহোক, যেহেতু সরকার ১৬৪ ভোট পেয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেছে, তাই বিরোধীদের সংখ্যায় কিছু যায় আসে না।’ এদিকে একজন শীর্ষ স্থানীয় কংগ্রেস নেতা এই প্রসঙ্গে বলেছেন যে বিধায়কদের অনুপস্থিতি ইচ্ছাকৃত বলে মনে হচ্ছে না। অবশ্য তিনি বলেন, ‘যদি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিধায়করা অনুপস্থিত থেকে থাকেন, তবে দলকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’