২০ জন টিকাপ্রাপকের শরীরে দু’বার দু’রকমের টিকা দেওয়া নিয়ে হুলুস্থুল কাণ্ড ঘটে গেল উত্তরপ্রদেশে। দু’রকমের টিকা পেয়ে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন টিকাপ্রাপকরা। অভিযোগ উঠেছে, প্রথম ডোজ দেওয়ার সময় কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছিল। অথচ তাঁদের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে কোভ্যাকসিনের! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগরে। যাঁরা দু’বার পৃথক ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাঁরা এখন আতঙ্কে ভুগছেন। শরীরে এর প্রভাব কতটা আর কীরকম হবে, তা নিয়ে ভেবে কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না টিকাপ্রাপকরা।
আইসিএমআরের ভ্যাকসিন নেওয়ার গাইডলাইনে আগেই জানানো হয়েছিল যে, প্রথম ভ্যাকসিন দেওয়ার সময় যে টিকা নেবেন টিকাপ্রাপকরা, তাঁদের দ্বিতীয়বারেও সেটাই নিতে হবে। কারণ, টিকাদান কর্মসূচিতে ব্যবহৃত কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ড দু’টি টিকার মান, উপাদান থেকে শুরু করে কার্যকারীতা সবই ভিন্ন। এছাড়াও দু’টো ডোজ নেওয়ার ব্যবধানও আলাদা।
ঘটনাটি ঠিক কি ঘটেছে?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলা বারহনি স্বাস্থ্য অঞ্চলের মধ্যে পড়ছে। সেখানেই আউদাহি কলন গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামের ২০ জন বাসিন্দাকে প্রথম ডোজ দেওয়ার সময় কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, দ্বিতীয় ডোজ নিতে গেলে তাঁদের কোভ্যাকসিন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই স্বাস্থ্যকর্মীরা একে অপরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছেন।
তবে, দু’রকম ভ্যাকসিন নেওয়া টিকাপ্রাপকদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
সিদ্ধার্থ নগর জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর দাবি, স্বাস্থ্যকর্মীদের গাফিলতির জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য দায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সন্দীপবাবু বলেন, ‘যাঁরা দু’রকম ভ্যাকসিন পেয়েছেন, তাঁদের স্বাস্থ্যের দিকে আমরা নজর রাখছি। এখনও পর্যন্ত কারও কোনও সমস্যা হয়নি। এই ধরনের গাফিলতি অত্যন্ত গুরুতর। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লেই দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না।’
প্রথম ডোজের সময় কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল, সেটা না দেখে কীভাবে এতগুলো লোককে অন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হল, তা জানতে তদন্তে শুরু করেছে উত্তরপ্রদেশের স্বাস্থ্য দফতর।