বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় সুবিচার চেয়ে হিসারের পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্ত্রী। কাঠগড়ার দাঁড় করিয়েছিলেন স্বামীকে। স্বামী পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে যান। বিষয়টি বিচার বিবেচনা করার পর এবার স্ত্রী'র করা বিবাহবিচ্ছেদের মামলার ওপরই স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আইনকে নিজের পক্ষে ব্যবহার করে স্বামী ও তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছিলেন স্ত্রী। মানসিক চাপে ওজন কমেছে, সেই সঙ্গে শ্রবণশক্তি হারিয়েছেন স্বামী।
হাইকোর্টের বিচারপতি ঋতু বহরি ও বিচারপতি অর্চনা পুরীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ওই মহিলা শিক্ষিত হওয়ার কারণে আইন সম্পর্কে ভালোভাবেই জানেন। স্ত্রীর কাছে ক্রমাগত কোণঠাসা হতে হতে স্বামীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বিয়ের সময় যেখানে তাঁর ওজন ছিল ৭৪ কেজি, সেখানে এখন তা ৫৩ কেজিতে এসে ঠেকেছে। ২১ কেজি ওজন কমে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মহিলার স্বামী এখন ৫০ শতাংশ শ্রবণশক্তিও হারিয়েছেন। হিয়ারিং এইড ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, নিজের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়া সত্বেও নিজের কন্যাসন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালেন অটল থেকেছেন স্বামী। তবে তাঁর স্ত্রী কিন্তু মেয়ের কোনও খোঁজ নিতে আসেনি। এরপরই ওই মহিলার করা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট।
জানা যায়, ২০১২ সালে হিসারে এক ব্যাঙ্ক কর্মীর সঙ্গে বিয়ে হয় শিক্ষিকার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের অপদস্থ করতে থাকেন ওই শিক্ষিকা। এরইমধ্যে তাঁদের একটি কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে স্বামী ও সন্তান ছেড়ে অন্যত্র চলে যান শিক্ষিকা। এরপর ২০১৯ সালে পারিবারিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে হিসার আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করেন তিনি।