সোমবারই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হয়। এর জেরে চারিহারা হয়ে পড়েন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। এই আবহে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশন। এর আগে হাই কোর্টের রায় প্রকাশ হতেই এসএসসি চেয়ারম্যান জানিয়েছিলেন, রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নির্বাচনী জনসভা থেকে জানিয়েছিলেন, সরকার চাকরিহারাদের পাশে থেকে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানাবে। সেই মতো হাই কোর্টের রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল এসএসসি। (আরও পড়ুন: 'যোগ্যদের' কী হবে? চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির)
আরও পড়ুন: ২০১৬'র প্যানেল বাতিলে স্কুলগুলিতে কতটা শূন্যতা তৈরি হবে? সামনে বিস্ফোরক পরিসংখ্যান
এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের রায় আসতেই এসএসসি সভাপতি সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেছিলেন, 'এই প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সিবিআই তদন্ত চলেছে। ৫০০০ নিয়োগ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিল সিবিআই। এগুলির নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ ছিল। বাকি প্রায় ১৯ হাজারের নামে কী অভিযোগ? তাদের কেন চাকরি গেল?'
প্রসঙ্গত, বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সবির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ রায়দান করে বলে, ২০১৬ সালে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দ্বাদশে নিয়োগ পাওয়া এসএসসি চাকরিপ্রাপকদের সবার চাকরি বাতিল হবে। পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলে, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের চাকরি বৈধ হতে পারে না। অন্যদিকে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে সব বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। প্রাপ্ত বেতনের ওপর ১২ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে চাকরিহারাদের। এর জন্যে চাকরিহারাদের ৪ সপ্তাহ সময় দিয়েছে হাই কোর্ট। এই টাকা জেলাশাসকের কাছে জমা করতে হবে তাঁদের। পরে জেলাশাসক পরবর্তী ২ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা হাই কোর্টে জমা দেবেন।
অপরদিকে এসএসসি-কে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুরও নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ওমএমআর শিট পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টেন্ডার ডেকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলল আদালত। এর পাশাপাশি এসএসসির সার্ভারে দ্রুত ওএমআর শিট আপলোড করতে বলেছে হাই কোর্ট। এদিকে হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত জারি রাখবে সিবিআই। নির্দেশে বলা হয়েছে, 'যাকে প্রয়োজন, তাকেই হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই'।