মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল গুরুগ্রামের একটি শ্মশানে। পাঁচিল ধসে তার নিচে চাপা পড়ে মৃত্যু হল শিশু-সহ চারজনের। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দু'জন। শ্মশানের পাঁচিল ধসে পড়ার সেই বীভৎস দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সন্ধ্যায় গুরুগ্রামের অর্জুননগরের মদনপুরীতে। শ্মশানের পিছনের গেটের দেওয়াল ধসে পড়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় উদ্ধারকারী দল। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভেঙে পড়ল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাঁচিল, চাপা পড়ে মৃত্যু আদিবাসী যুবকের
জানা গিয়েছে , পাঁচিলের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন দুই শিশু সহ মোট ৬ জন। তার মধ্যে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন চারজন। খবর পেয়ে সেখানে দ্রুত পৌঁছে যান প্রশাসনিক আধিকারিক এবং উদ্ধারকারী দল। সেখানে পৌঁছে ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে একে-একে সকলকে উদ্ধার করা হয় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
এই দুর্ঘটনার দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পাঁচিল ঘেঁষে চেয়ারে বসে রয়েছেন ছয়জন। তাঁরা নিজেদের মধ্যেই কথা বলছিলেন। আর একজন দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখনই কিছু বুঝে ওঠার আগে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাঁচিলটি। তাঁরা সরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সেখান থেকে সরে যেতে পারেননি। নিমেষে তাঁর নিচে চাপা পড়ে যান ছয়জন। যদিও দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি সেখান থেকে দৌড়ে দূরে সরে যান এবং অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন। ঘটনার পরেই আশেপাশের লোকজন দ্রুত সাহায্যের জন্য সেখানে ছুটে আসেন। ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন।
শ্মশানের পাঁচিলের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া ব্যক্তিদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম হল - পাপ্পু, কৃষ্ণা, মনোজ ও খুশবু। ঘটনাটি ঘটেছে অর্জুন নগর পুলিশ ফাঁড়ির কাছে। শ্মশানের পাঁচিল ১৮ ফুট উঁচু ছিল।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে। মৃতদেহগুলি নিজেদের হেফাজতে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। স্থানীয়দের বক্তব্য, পাঁচিলটি দীর্ঘদিন ধরেই রুগ্ন অবস্থায় ছিল। তার পাশে কাঠ দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছিল।