রাসায়নিক গুদামে বিধ্বংসী আগুন লাগল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। সেখানে একসঙ্গে পাঁচজনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম চারজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। কারণ আর একজনের পরিচয় জানা যায়নি। গোটা গুদাম ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। নিহতদের দেহ উদ্ধার করেছে দমকল। মৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছে। মোট ২৩ জন এই অগ্নিকাণ্ডে জখম হয়েছেন বলে খবর মিলেছে।
দমকল দফতরের আধিকারিক মাফুজ হুসেন জানান, বাড়ির নীচতলায় আগুল লেগেছিল। যা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাড়িতে। রাজধানীর পুরনো ঢাকা এলাকার আরমানিটোলায় এই বহুতল ভবনে আগুন লাগে। আগুন লাগার পর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় ভবনের নীচতলা। ধীরে ধীরে ধোঁয়া উঠতে থাকে উপরের দিকে। এতে উপর তলার বাসিন্দারা বুঝতে পারেন আগুন লেগেছে বহুতলে। তখন মানুষজন বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলেও ধোঁয়া ও আগুনের কারণে বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি। তবে ঘটনাস্থলে দ্রুত দমকল বাহিনী চলে আসায় অনেকেই প্রাণে বাঁচেন।
ভোর ৬টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই আগুন নেভাতে ২০টি দমকলের ইঞ্জিনকে আসতে হয়েছিল। দমকল বিভাগ সূত্রে খবর, ধোঁয়ার কারণেই বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দুই থেকে তিনজন চিকিৎসাধীন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও বোঝা যায়নি। ফায়ার সার্ভিস তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
দমকল বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান জানান, আহতদের মধ্যে ১৪ জন ভবনের বাসিন্দা। ভবনটির নিচতলায় রাসায়নিকের গুদাম রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক প্রতিবেশী। এই অগ্নিকাণ্ডে নিহত পাঁচজনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। রাসেন মিয়াঁ নামের নিহত এক ব্যক্তি ওই ভবনেরই দারোয়ান ছিলেন। আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন এক মহিলাও। তিনি ওই ভবনের চারতলার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর নাম জানা যায়নি।