বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > করোনা আবহে দিল্লির হোমগুলির করুণ দশা,দুই সংখ্যার নম্বরও চিনতে পারছে না ৪৫% শিশু!

করোনা আবহে দিল্লির হোমগুলির করুণ দশা,দুই সংখ্যার নম্বরও চিনতে পারছে না ৪৫% শিশু!

ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস (HT_PRINT)

করোনা আবহে দীর্ঘ একবছরের বেশ সময় ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

করোনা আবহে দীর্ঘ একবছরের বেশ সময় ধরে বন্ধ স্কুল-কলেজ সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর জেরে শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অনলাইন মাধ্যমে স্থানান্তরিত হয়েছে। তবে অনলাইনে পড়াশোনার মান যে পড়ছে, সেই শঙ্কা বিভিন্ন মহল থেকেই প্রকাশ করা হয়েছে বিগত একবছরে। এদিকে হোমে বসবাসকারী শিশুদের কাছে কোনও পড়াশোনাই প্রায় পৌঁছাচ্ছে না। এই নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল দিল্লি শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনের দ্বারা। জুলাইতে শুরু হওয়া সেই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে দিল্লির দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত বিভিন্ন হোমে বাস করা শিশুদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ শিশু দুই ডিজিটের নম্বর চিনতে পারেনি। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ আবার নম্বরই চিনতে পারেনি কোনও।

৬ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের মধ্যে থাকা শিশুদেরকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। তবে সমীক্ষার অধিকাংশ শিশুর বয়স ১২ থেকে ১৫ ছিল। সমীক্ষায় মোট শিশুদের সংখ্যা ছিল ৪০০ জন। উল্লেখ্য, দিল্লিতে ১০০টিরও বেশি শিশু রক্ষা সংক্রান্ত সংগঠন রয়েছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ অবস্থিত দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লিতে।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে ৩৭.৫ শতাংশ শিশু হিন্দি গল্প পড়তে পারে না। ১৮ শতাংশ শিশু তো হিন্দি অক্ষর চিনতেও ভউল করে। তাছাড়া ২৫ শতাংশ আবার নম্বর চিনতে ভুল করেছে। ৪৫ শতাংশ শিশু দুই ডিজিটের নম্বর চিনতে পারেনি। এই বিষয়ে ডিসিপিসিআর-এর চেয়ারম্যান অনুরাগ কুণ্ডু জানান যে এই সমীক্ষাটি একটি পাইলট প্রকল্পের অন্তর্গত। শিশুদের মধ্যে সংখ্যা এবং অক্ষ পরিচয় বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ১০০ শতাংশ শিশুকে হিন্দিতে সড়গড় করা। পাশাপাশি সবাই যাতে অঙ্কের মৌলিক দিকটা জানতে পারে, সেই বিষয়টা নিশ্চিত করা হবে। তাছাড়া শিশুরা যাতে যৌন নিগ্রহের শিকার না হয়, বা পাচার না হয়, সেই দিকটার উপর বেশ জোর দেওয়া হবে।

 

 

 

বন্ধ করুন