ভারত গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করলেন যে এবার থেকে সব মেয়েদের জন্য সৈনিক স্কুলের দরজা খুলছে। আগে শুধুমাত্র ভারতীয় সেনায় কর্মরত কর্তাদের মেয়েদের এই স্কুলে পড়ার সুযোগ ছিল। এদিন মোদী বলেন, 'অনেক মেয়েরা আমাকে লিখছে আর তাই সরকার মেয়েদর জন্য সৈনিক স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
মোদী বলেন, 'আগে খেলাধুলোকে গুরুত্ব দেওয়া হত না। এখন দেশে খেলাধুলো নিয়ে সচেতনতা বাড়ছে। আমরা এ বছর অলিম্পিকসেই তা দেখেছি। দেশের মেয়েরা অলিম্পিকসে দুর্দান্ত কৃতিত্ব দেখিয়ে দিয়েছে। নতুন শিক্ষানীতিতে খেলাকে অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে দেখা হবে না। এটিকে পঠনপাঠনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শিক্ষা হোক বা খেলাধুলো, বোর্ডের পরীক্ষা হোক অলিম্পিকস মেডেল, আমাদের মেয়েরা দারুণ প্রদর্শন করেছে।'
এরপর মোদী আরও বলেন, 'অনেক মেয়েরা আমাকে লিখছে আর তাই সরকার মেয়েদর জন্য সৈনিক স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশের সৈনিক স্কুলগুলি মেয়েদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। যাঁরা সৈনিক স্কুলে পড়তে চান তাঁদের জন্য দেশের সবকটি সৈনিক স্কুলের দরজা খোলা থাকবে।' মোদী এদিন শিক্ষানীতি নিয়ে বলেন, 'দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটা মাধ্যম ভারতের নতুন শিক্ষা নীতি। আর এতে আঞ্চলিক ভাষায় পড়াশুনোতেও উৎসাহ দেওয়া হবে।'
এদিন স্বাধীনতার শতবর্ষের লক্ষ্য স্থির করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'শতবর্ষের অমৃত মুহূর্ত আসতে এখনও ২৫ বছর বাকি ৷ কিন্তু আমরা ততদিন থেমে থাকব না। ১০০তম বছরের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সময় একটা নতুন ভারত তৈরি হবে, তা বদলানোর কাজ এখন থেকে শুরু করব। সবার সঙ্গে, সবার বিকাশ আর প্রত্যেকের চেষ্টায় আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাব। একুশ শতকে ভারতকে একটা নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ভারতের সম্ভাবনার সম্পূর্ণ ব্যবহার জরুরি। এর জন্য, যাঁরা পিছিয়ে পড়েছেন, তাঁদের হাত ধরতে হবে।' পাশাপাশি এদিন মোদী ঘোষণা করেন যে 'প্রধানমন্ত্রী গতি শক্তি' মাস্টার প্ল্যান চালু হবে। এতে দেশের পরিকাঠামো আর পরিবহণে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। ১০০ লক্ষ কোটি টাকার প্রোজেক্টে নতুন চাকরি, নতুন সুযোগ তৈরি হবে।