আরও কার্যকর হতে হবে সরকারকে। এই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকারের রূপ সম্পূর্ণ ভাবে বদলাতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্ত্রিসভার ৭৭ জন সদস্যকে তিনি ৮টি দলে ভাগ করে সরকারের ভোল পাল্টে ফেলতে চলেছেন মোদী। সরকারি কাজে যাতে আরও স্বচ্ছতা আসে এবং কার্যকারিতা বাড়ে, সেই লক্ষ্যে প্রযুক্তির সাহায্যে পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মোদী। এর জন্য নিজের মন্ত্রীদের মোদী পরামর্শ দেন যাতে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ করেন তাঁরা। প্রয়োজনে অবসরপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞদের নিয়োগের পরামর্শ দেন মোদী। আটটি দলের প্রত্যেকটিকে তিনজন তরুণ পেশাদারকে নিয়োগ করতে বলা হয়েছে। আরেকটি দলকে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামত নিয়ে একটি পোর্টাল তৈরির কাজ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারের কার্যকারিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত চিন্তন শিবিরেই এই পরামর্শগুলি মন্ত্রীদের দেন মোদী। মোট পাঁচটি এরম সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ব্যক্তিগত দক্ষতা, পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, মন্ত্রকের কাজ এবং স্টেকহোল্ডারদের এনগেজমেন্ট, দলের সঙ্গে সমন্বয়, কার্যকর যোগাযোগ স্থাপন এবং সংসদীয় অনুশীলন নিয়ে আলোচনা করতে এই শিবিরগুলি হয়।
এই বৈঠকগুলিতেই মোদী কেন্দ্রীয় সরকারে তরুণ পেশাদার নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনার কথা জানান। পাশাপাশি অবসর নেওয়া কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও সরকার পরামর্শ চাইবে বলে জানান তিনি। তাছাড়া কোনও প্রকল্প নিরীক্ষণের জন্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন মোদী। পাশাপাশি মন্ত্রিপরিষদের পুরো সদস্য, পরিচিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আটটি ভিন্ন গোষ্ঠী গঠনের ছক কষেন মোদী। এক একটি দলে থাকা মন্ত্রীরা নিজেদের মধ্যে কাজ নিয়ে আোচনা ও চিন্তাভাবনা করবেন, একে অপরের পরামর্শ নেবেন। একসঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছলে তা মন্ত্রীদের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আট দলের 'অধিনায়করা' হলেন - হরদীপ সিং পুরী, নরেন্দ্র সিং তোমার, পীযূষ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্মৃতি ইরানি ও অনুরাগ ঠাকুর।