দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, শারীরিক সম্পর্ক করার পরেও বিয়ের ব্যাপারে মন বদলে ফেলেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী। আর এখানেই বোম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। কোর্ট ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ কার্যত নাকচ করে দিয়েছে।
দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, শারীরিক সম্পর্ক করার পরেও বিয়ের ব্যাপারে মন বদলে ফেলেছিলেন ৩৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন তাঁর প্রাক্তন বান্ধবী। আর এখানেই বোম্বে হাইকোর্টের ঔরঙ্গাবাদ বেঞ্চ যুগান্তকারী রায় দিয়েছে। কোর্ট ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ কার্যত নাকচ করে দিয়েছে।
|#+|
জাস্টিস সুনীল দেশমুখ ও জাস্টিস নীতীন সূর্যবংশীর ডিভিশন বেঞ্চ ওই সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা কার্যত বাতিল করে দিয়েছেন। কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ওই বিয়ে করার ব্য়াপারে ওই ব্যক্তির বাস্তবিকই ইচ্ছা ছিল। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, মন বদলে ফেলার জন্য তিনি বিয়ে করতে চাইছেন না। এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা যায় না। আদালতের দাবি, তদন্তের সময় যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে তাঁর বিয়ে করার সত্যিকারের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পরে মন বদলে যাওয়ায় তিনি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।
এদিকে ৩০ বছর বয়সী ওই তরুণীর দাবি, তাঁদের দুজনের মধ্যে আগে থেকেই পরিচয় ছিল। ২০১৫ সাল থেকে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। কয়েক মাস পর থেকেই তাঁরা ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। একে অপরের সঙ্গে তাঁরা দেখা করতেও শুরু করেন। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রায় নিয়মিতই শারীরিক সম্পর্কও হত। এদিকে বিয়ে করবে বলেও ওই যুবক কথা দিয়েছিল। কিন্তু ২০২০সালের ৬ই এপ্রিল থেকে যুবক মোবাইল বন্ধ করে দেয়। এদিকে যখন তার পরিবারের কাছে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় তখন কোভিড পরিস্থিতির কথা বলে বার বার পিছিয়ে গিয়েছে। এরপরই থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয় যুবকের বিরুদ্ধে।তবে কোর্টের পর্যবেক্ষণ, কোনও মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছিল না। ভালোবাসা থেকেই দুজনের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।