কর্ণাটকের কালাবুর্গি এলাকা। সোমবার সন্ধ্যায় সেখানে ধুন্ধুমার কাণ্ড! সেখানে এক অভিযুক্ত ফজল ভগবানকে দেখা যায় ধারালো ছুরি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াতে। পুলিশ তাকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা করে। কিন্তু সে কথা শোনেনি। পুলিশের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে সে। এরপরই পুলিশ গুলি চালাতে শুরু করে। মূলত নিজেদের ও জনসাধারণের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে পুলিশ গুলি চালায়। এর জেরে সে জখম হয়েছে।
পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে গ্রেফতার করা হয়। কলাবুরাগির পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সুপার মার্কেটের কাছে একটি ছুরি নিয়ে সে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সাধারণ মানুষের উপর সে হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তখন পুলিশ তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। উলটে সে পুলিশের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তখনই আত্মরক্ষার জন্য় ও জনতাকে রক্ষার জন্য পুলিশ গুলি চালানো শুরু করে। দুষ্কৃতীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। তাতে সে আহত হয়েছে। ওই অভিযুক্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার আসল কারণ কী সেটা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। কন্ট্রোল রুম থেকে ফোন পাওয়ার পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। বলা হয়েছিল একজন ব্যক্তি সাধারণ মানুষের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করছেন। এরপর সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছ থেকে সহায়তা চান।
অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভারতীয় দন্ডবিধির নির্দিষ্ট ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। এনিয়ে তদন্তও চলছে। তবে ওই ব্যক্তি কেন এভাবে সুপার মার্কেটের কাছে এভাবে ছুরি নিয়ে ঘুরছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
তবে গোটা ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনায় সাধারণ মানুষ আহত হতে পারতেন। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে সে কেন এভাবে ছুরি নিয়ে ঘুরছিল সেটা পরিষ্কার নয়। পুলিশ ধরতে এলে সে পুলিশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। পুলিশ গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করা হবে।এই ঘটনার পেছনে অন্য কেউ জড়িত কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।