'বয়স' যে শুধুই সংখ্যা তা আরও একবার প্রমাণ করলেন জুলিয়ান ময়লি। বিয়ে বা প্রেমের ক্ষেত্রে বয়স যে বাধ মানে না, সেকথা যেন বারবার স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা। ফলে 'বিয়ের বয়স' পেরিয়ে গেল, ভেবে যাঁরা খুব উদ্বেগে তাঁদের কাছে জুলিয়ান ও ভেলেরির প্রেম কাহিনী রীতিমতো তাক লাগাচ্ছে! এই প্রেম ২৩ বছর আগের। যা বিয়ের পরিণতি পেয়েছে সদ্য।
বর্তমানে জুলিয়ান ময়লির বয়স ৯৫। আর তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ভেলেরির বয়স ৮৪। ২৩ বছর আগে এক চার্চে তাঁদের সাক্ষাৎ হয়েছিল। তবে তার পর থেকে বহু বছর কেটে গিয়েছে, কিন্তু ভেলেরির সামনে হাঁটু গেড়ে বসে প্রেম নিবেদন করতে পারেননি জুলিয়ান। যা তিনি শেষমেশ ৯৫ বছর বয়সে করলেন। এই ঘটনা ইউনাইটেড কিংডমের। এই বিয়ে আর চার পাঁচটা বিয়ের মতোই। হল খ্রিস্টান ধর্মমত মেনে বিয়ে। চলল গান। হল খাওয়া দাওয়া। আমন্ত্রিত ছিলেন ৪০ জন বন্ধুবান্ধব।
আর প্রথমবার বিয়ের যেমন উন্মাদনা হয়, ঠিক সেভাবেই বিয়েতে মেতে উঠলেন জুলিয়ান ও ভেলেরি। জুলিয়ানের কাছে এই বিয়ে 'অসামান্য' অভিজ্ঞতা। নববিবাহিতদের কাছে এই বিয়ে 'একসঙ্গে থাকার' জন্যই অনন্য একটি উদ্দেশ্য। শুধুমাত্র পছন্দের মানুষের সঙ্গই তাঁদের কাছে শ্রেষ্ঠ 'পাওয়া'। আর সেকথা ভেবেই এই বিয়ের সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পিরিয়ডের রঙ দেখে কি জানা যায় মহিলাদের শরীরের রোগ-জটিলতা থেকে বন্ধ্যত্বের লক্ষণ?
জুলিয়ান ও ভেলেরি জানাচ্ছেন বছরের শেষের দিকে তাঁরা হানিমুনের উদ্দেশে যাচ্ছেন। তাঁরা যাচ্ছেন জুলিয়ানের দেশে ঘুরতে। ইউকে থেকে উড়ে যাবেন সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৯৫৪ সালে জুলিয়ান এসেছিলেন ইউকেতে। তাঁরা বলছেন এই বিয়ে যেন এক নতুন বছরের শুরুর মতোই আনন্দদায়ক। এদিকে নববিবাহিতা ভেলেরি বলছেন এমন বিয়ে যেন তাঁর বিশ্বাসই হচ্ছে না! সবমিলিয়ে এই বিয়েও এক 'রূপকথা' গড়ে দিল!