প্রায় ২ দশক কলকাতায় লুকিয়ে থেকে ঢাকায় ফিরতেই বঙ্গবন্ধুর খুনিকে ফাঁসিতে ঝোলাল বাংলাদেশের হাসিনা সরকার। রবিবার স্থানীয় সময় রাত ১২ টার কিছু পর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে বলে সেদেশের সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গিয়েছে।
গত সোমবার গভীর রাতে ঢাকার গাবতলি এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে আবদুল মাজেদকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাকে আদালতে পেশ করা হলে মাজেদ জানায়, ২৪ বছর কলকাতায় আত্মগোপন করে ছিল সে। বুধবার তার মৃত্যুপরোয়ানা জারি করে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ। গ্রেফতার ১ সপ্তাহের মধ্যে তার মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর করল হাসিনা সরকার।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ফাঁসির পর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'বঙ্গবন্ধুর এই পলাতক খুনিকে গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারার বিষয়টি মুজিববর্ষে জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ উপহার।'
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-সহ তার গোটা পরিবারকে হত্যা করে সেনাবাহিনীর একদল সদস্য। এর পর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ক্ষমতায় এলে হত্যাকারীদের নানা পদে আসীন করেন। আবদুল মাজেদকে রাষ্ট্রদূতের পদ দেন। ১৯৮০ সালে খালেদা জিয়া তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে সেদেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসান। কিন্তু ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ ছেড়ে পালায় সে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্চের মাঝামাঝি সময় উত্তরবঙ্গ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে সে। গত ৬ এপ্রিল তাকে গ্রেফতার করে সেদেশের পুলিশ। যদিও আবদুল মাজেদের বাংলাদেশের থাকার কোনও খবরই ছিল না সেদেশের গোয়েন্দাদের কাছে। এখনো পলাত বঙ্গবন্ধুর ৫ খুনি।
বলে রাখি, বাংলাদেশে চলছে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালন। গত ১৭ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে এই অনুষ্ঠান। চলবে বছরভর।