সেবি সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দিল হিন্ডেনবার্গ মামলার তদন্ত শেষ করতে এখনও ১৫দিন সময় লাগবে। তারপর এনিয়ে রিপোর্ট দেওয়া হবে। সুপ্রিম কোর্টকে সেবি জানিয়েছে, কিছুটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এই তদন্ত। এখনও দিন পনেরো সময় লাগতে পারে।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল ভারতের আদানি গ্রুপকে। এরপর এনিয়ে একেবারে হইচই পড়ে যায়। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, গত ২ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে নির্দেশ দিয়েছিল, দুমাসের মধ্য়ে গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখুন। এরপর গত ২৯ এপ্রিল সেবি সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিল আরও মাস ছয়েক সময় লাগবে। কারণ এর সঙ্গে সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। সব খতিয়ে দেখতে কিছুটা সময় লাগবে।
তখন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় তিন মাস সময় দিয়েছিলেন। তাদেরকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে আগামী ২৯ অগস্ট পরের শুনানি রয়েছে। তার আগে সুপ্রিম কোর্টে সেবি জানিয়েদিল, আরও অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে। কারণ এনিয়ে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তের উপর নজরদারি করছে। সেখানে কারা কারা রয়েছেন জেনে নিন। সেখানে রয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এএম সাপ্রে, বোম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি জেভি দেভাধর, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ওপি ভাট, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন প্রধান কেভি কামাথ, ইনফোসিসের সহ প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানি ও নিরাপত্তা ও সুরক্ষা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ সোমশেখর সুন্দরেশান।
তবে আদানি গ্রুপ আগেই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। তাদের অভিযোগ একেবাের ছক কষে এসব করা হচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে আদানির তরফে বলা হয়েছিল, এটা ভারতের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে। কোনও নির্দিষ্ট কোম্পানির উপর নয়।
২০২৩ সালের জানুয়ারির শেষের দিকে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেল কোম্পানির মাধ্যমে শেয়ারের মূল্যে ম্যানিপুলেশন, কর্পোরেট অব্যবস্থাপনার মতো বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছিল। যদিও এমন ধরনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি গ্রুপ। হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর জানুয়ারিতে কার্যত ধস নামে আদানি গ্রুপের শেয়ারগুলিতে। রেকর্ড ক্ষতির সম্মুখীন হয় ভারতের এই ধনকুবের। এই বছরের জানুয়ারিতে এই রিপোর্ট প্রকাশের পর গৌতম আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য ধাক্কা খায়।
প্রসঙ্গত প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বিদেশে বেনামি সংস্থা খুলে নিজেদের শেয়ার নিজেরাই কিনে নিত আদানি গোষ্ঠী। এভাবে বাজারে ভুয়ো চাহিদা সৃষ্টি করে শেয়ারের দাম চড়ানো হত। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে এসেছে আদানি গোষ্ঠী। এদিকে মোট ১১টি দেশের তদন্তকারী সংস্থার থেকে আদানি সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে সেবি।