ইউক্রেনে গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়তে। উত্তর ২৪ পরগনার পলতার ক্যানিং রোডের বাসিন্দা আদিত্য বিশ্বাস। নিরাপদেই বাড়ি ফিরেছেন তিনি। গত কয়েকদিন ভয়াবহ মুহূর্তের সাক্ষী তিনি। এত দ্রুত দেশটি বদলে যাবে তা বোধহয় ভাবেননি অনেকেই। তবে বাড়ি ফিরে আসার পরে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আদিত্য। তবে ফেলে আসা দিনগুলোর ভয়াবহ স্মৃতি বার বার ফিরে আসছে তার মনে। তিনি জানিয়েছেন, আমরা আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিলাম। খুব রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। ভয়ও পেতাম। রোজ বোম্বিং হত। ভাইব্রেশন পেতাম। গুলির আওয়াজ পেতাম। আকাশ দিয়ে জেট প্লেনের আওয়াজ পেতাম। আতঙ্ক ছিল। কিন্তু তখন আতঙ্ক করে তো লাভ নেই। নিজেদের বন্ধুদেরকে বোঝাতাম। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতাম।
আদিত্য বলেন, ২৮শে ফেব্রুয়ারি দূতাবাস থেকে নোটিশ পেয়ে আমরা বের হই। এরপর ট্রেনে চেপে বের হই। ইউক্রেন সরকারের স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদের খাবার, জল দিচ্ছিল। এরপর হাঙ্গেরি সীমান্তে যাই। সীমান্ত পেরিয়ে বুদাপেস্ট হয়ে আমরা ভারতে আসার বিমান ধরি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে আবার যদি ইউক্রেনে যেতে হয় তবে কি আদিত্য যাবে? এনিয়ে মেডিক্যাল পড়ুয়া আদিত্য জানিয়েছেন, নিশ্চয়ই যাব। ওখানকার পরিবেশ, পড়াশোনা অত্যন্ত ভালো। পরিস্থিতি একটু ঠিক হলে আবার যাব ইউক্রেন। আদিত্যর মা বলেন, একসময় মনে হচ্ছিল ছেলে হয়তো আর ফিরে আসতে পারবে না। ভারত সরকার খুব সহায়তা করছিল।যদি ভারত সরকার অনুমতি দেয় তবে আবার ইউক্রেনে যাবে ছেলে।