পাঁচ রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবির পর রবিবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। দলে গান্ধীদের ভবিষ্যত নিয়ে জোর জল্পনার মাঝেই কংগ্রেসে নিজের পদ বজায় রাখেন সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীরা। এদিকে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে সোনিয়া গান্ধীকে ঢাল করলেন দলের খারাপ ফল নিয়ে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে খাড়গে বলেন, ‘যেসব রাজ্যে ভোট হয়েছে এবং সেখানে কংগ্রেস হেরেছে, সেই রাজ্যের সব নেতা, সাংসদদের দায় এই ফলাফল। শুধুমাত্র গান্ধী পরিবারের দায় নয় এই ফল।’ খাড়গে এদিন বলেন, ‘পদত্যাগ করার প্রশ্নই ওঠে না।’
রাজ্যসভার বিরোধী দলের নেতা দলের কৌশলগুলিকে শক্তিশালী করতে এবং পরবর্তী নির্বাচনে বিজেপিকে পরাজিত করার বিষয়ে তার বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন। বলেন, ‘আমরা বিজেপি এবং এর মতাদর্শের বিরুদ্ধে লড়াই করব; আমাদের মতাদর্শকে এগিয়ে নিয়ে যাব এবং আশা করি যে পরবর্তী নির্বাচনে আমরা আগের থেকে অনেক ভালো করব।’
পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবির পর রবিবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসেছিল। গুঞ্জন শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত দলে নিজেদের পদে বহাল থাকছেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্যই। তবে বৈঠকে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ ‘জি ২৩’ গোষ্ঠীর নেতাদের কঠিন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাহুলকে। উল্লেখ্য, পাঁচ রাজ্যের ভরাডুবির মাঝে পঞ্জাবে দলের হার সবচেয়ে বেশি করে বিঁধেছে কংগ্রেসকে। এই রাজ্যে সরকারে ছিল কংগ্রেস। আনন্দ শর্মা এদিন সতর্ক করে দিয়েছেন যে আম আদমি পার্টি পাঞ্জাবের প্রতিবেশী হিমাচল প্রদেশেও কংগ্রেসের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই বছরের শেষের দিকেই হিমাচলে নির্বাচন হওয়ার কথা। এদিকে বৈঠকে আজাদ বলেন, ‘ভোটের ছয় মাস আগে না করে মুখ্যমন্ত্রী অদলবদল চার বছর আগেই করা উচিত ছিল।’