সৌদি আরবের কাছে ধাক্কা খাওয়ার পর কিছুটা চিনের কাছে কিছুটা স্বস্তির আশা নিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদকে সেই স্বস্তি দিয়ে বেজিং জানাল, কাশ্মীরের পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে এমন কোনও ‘একতরফা’ পদক্ষেপের বিরোধী তারা।
দক্ষিণ চিনের হাইনান প্রদেশে দু'দেশের বিদেশমন্ত্রীদের দ্বিতীয় কৌশলগত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রত্যাশামতোই পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। বৈঠক শেষে শুক্রবার একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, 'নিজেদের উদ্বেগ, অবস্থান এবং বর্তমানের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি-সহ জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে চিনকে ব্যাখ্যা করেছে পাকিস্তান। চিন আবারও জানিয়েছে যে কাশ্মীর হল ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চলে আসা একটি বিরোধ। যা সত্য এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে সেই বিতর্কের সমাধান করতে হবে। সেই পরিস্থিতি জটিল করে তুলবে এরকম কোনও একতরফা পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে চিন।’
চিন ও পাকিস্তান কত ভালো ‘বন্ধু’, তা প্রমাণের জন্য কোনও কসরৎ বাকি রাখা হয়নি।যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের পারস্পরিক স্বার্থ, শান্তি-সমৃদ্ধির প্রসার, উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে প্রতিশ্রুতবদ্ধ ‘লৌহ ভাই’ চিন ও পাকিস্তান। একইসঙ্গে চিন আশ্বাস দিয়েছে, আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার প্রশ্নে পাকিস্তানকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করা হবে। পালটা ইসলামাবাদ জানিয়েছে, তাইওয়ান, শিনজিয়াং, তিব্বত এবং হংকং নিয়ে বেজিংয়ের দাঁড়াবে তারা। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ভারত-চিন সীমান্ত দ্বন্দ্বের আবহে ইসলামাবাদ এবং বেজিংয়ের তরফে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে এলাকায় বিভিন্ন পক্ষকে বিরোধ এবং সমস্যার সমাধান করতে হবে।’