আক্রান্তদের হাসপাতালে ভরতি হওয়া নিয়ে কার্যত ভয়াবহ রূপ দেখেছিল করোনার দ্বিতীয় স্রোত। দিকে দিকে ছিল ত্রাহি ত্রাহি রব। করুণ পরিস্থিতিতে হাসপাতালে একটি বেড বা অক্সিজেন পাওয়া নিয়ে দিকে দিকে হাহাকারের ছবি ফুটে উঠে ছিল। এরপর ২০২২ শুরু হতেই ভারত জুড়ে কোভিডের নয়া ত্রাস শুরু হয়েছে ওমিক্রনের হাত ধরেই। ইতিমধ্যেই শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এই অবস্থায় হাসপাতালে ভরতি প্রসঙ্গে কার্যত সতর্কবার্তা উঠে এল এইমসের চিকিৎসক ডক্টর পি শরৎ চন্দ্রের তরফে।
এইমসের চিকিৎসক পি শরৎচন্দ্র সেখানের নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক। তিনি বলছেন, 'ভ্যাকসিনেশন ও মাস্ক পরা খুবই জরুরি যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে। যদি জনসংখ্যার ১ শতাংশেরও হাসপাতালের প্রয়োজন হয়। তাহলেও তা বড় সংখ্যা হয়ে দাঁড়াবে।'এই সূত্র ধরেই তাঁর বার্তা , কোনও মতেই হাল ছাড়লে চলবে না। আর সেটাই হবে আমাদের দায়িত্বশীল হওয়ার প্রমাণ। ওমিক্রনের বিরুদ্ধে একমাত্র কার্যকরী ভূমিকা পালন ভ্যাকসিনেশন ও মাস্কের ব্যবহার , বলে মনে করছেন এই চিকিৎসক।
দেশের দৈনিক পজিটিভিটির হার বর্তমানে ৬.৪৩ শতাংশ। সেক্ষেত্রে সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার ৩.৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে। ইতিমধ্যেই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২,৬৩০ জন। এমনই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। দেশে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। সেখানে ৩৫ হাজার পার করেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। শুধু মুম্বই শহরেই আক্রান্ত ২০ হাজারের বেশি মানুষ। ওমিক্রন আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্রের পরই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬৫ জন। রাজস্থা নে, ২৩৬, কেরলে ২৩৪, কর্ণাটকে ২২৬, গুজরাতে ২০৪,তামিলনাড়ুতে ১২১ জন। পশ্চিমবঙ্গে ২০ জনের দেহে ওমিক্রনের চিহ্ন মিলেছে। দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্ত হচ্ছেন বহু চিকিৎসক। এই বিষয়ে চিকিৎসক শরৎ চন্দ্র জানান, 'আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষিত রাখতে হবে। তাঁদের সাবধান হতে হবে, কারণ তাঁরা ফ্রন্টলাইনার।'