আফগানিস্তানে আমেরিকার ড্রোন হামলার ফলে আল কায়দা প্রধান আয়মন অল জওয়াহিরির মৃত্যু হয়। যে ঘটনার পর সোচ্চার কণ্ঠে আল কায়দা প্রধানের মৃত্যুর খবর জানায় আমেরিকা। তবে সূত্রের দাবি, জঙ্গি নেতা জওয়াহিরির মৃত্যুর পর পাকিস্তান খানিকটা উদ্বেগে ভুগছে। পাকিস্তানকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের স্মৃতি।
২০০১ সালে আমেরিকার বুকে বিধ্বংসী জঙ্গিহানার নেপথ্য নায়ক ছিল আল কায়দার আয়মন জওয়াহিরি। এরপর আমেরিকার তখতে সরকার বদলেছে কিন্তু আমেরিকার শত্রুর তালিকায় আলকায়দা প্রতিষ্ঠাতা লাদেনের মতোই থেকে গিয়েছে জওয়াহিরি। লাদেনকে আমেরিকা খতম করার পর জওয়ারি নিজের মতো করে জঙ্গি নেটওয়ার্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। সদ্য সোমবার আমেরিকা জানিয়ে দেয় যে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে মার্কিন ড্রোন হামলায় জওহিরির মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের মন্ত্রী অসিম ইফতিকারকে জওয়াহিরির মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। প্রশ্ন করা হয়, জওয়াহিরিকে বাইরে বের করতে পাকিস্তানের গোপন এজেন্সির সহায়তা নেওয়া হয়েছিল কি না। যার উত্তরে তিনি বলেন, 'এই ঘটনার কোনও প্রমাণ নেই যে পাকিস্তানের 'বিমান ক্ষেত্রের সহায়তা নেওয়া হয়েছিল।' অন্যরকমের খবর পড়ুন- চুলে তেল লাগাতে গিয়ে এই ভুল করে ফেলছেন না তো! 'হেয়ার ফল' রুখতে সহজ টিপস
একইসঙ্গে পাকিস্তানের মন্ত্রী অসিম ইফতিকার এও বলেন যে, 'যেমনটা আপনারা জানেন যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে পাকিস্তান পদক্ষেপ করেছে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছে পাকিস্তান। এটাও জেনে নিন যে আল কায়দার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য যা পাওয়া গিয়েছে তাতে পাকিস্তানের বড় ভূমিকা রয়েছে।' উল্লেখ্য, মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তান কূটনৈতিক দিক থেকে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে নিজের পিচ পোক্ত করতে উদ্যত হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের ভয় এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানকে। সেই জায়গা থেকে পাকিস্তান স্পষ্ট করতে চায় যে তার ভূখণ্ড ব্যবহার করে আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনকে বিনাশ করতেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফলে কোনও দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন যাতে না করা হয়, তার প্রচ্ছন্ন বার্তা পাকিস্তান ভারতে দিতে চায় বলেও মনে করা হচ্ছে ওই বক্তব্য থেকে। প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে নিকেশ করার পরিকল্পনায় তৎকালীন পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল বাজওয়ার সঙ্গে আমেরিকান সেনা বাহিনী আলোচনা চলায় বলে শোনা যায়। আর সেই প্রসঙ্গই ফের একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন অসিম ইফতিকার।