বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > ময়দানে নয়া দল নামাচ্ছেন ক্যাপ্টেন, চলছে কংগ্রেস ভাঙার 'কাজ', লড়বেন ১১৭ আসনে

ময়দানে নয়া দল নামাচ্ছেন ক্যাপ্টেন, চলছে কংগ্রেস ভাঙার 'কাজ', লড়বেন ১১৭ আসনে

পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং (ছবি: এএনআই) (ANI)

অমরিন্দর আজ বলেন, প্রাকনির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ৯২ শতাংশ কাজ তিনি সম্পন্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। তবে ১০টি কাজ তিনি করতে পারেননি।

কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণার পর থেকেই প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে নয়া দল গড়তে চলেছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। পঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এদিন আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করলেন যে তিনি নতুন রাজনৈতিক দল তৈরি করছেন। তবে দলের নাম ও প্রতীক এখনও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন পায়নি বলে জানান তিনি। ক্যাপ্টেন জানান, তাঁর আইনজীবীরা এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলছে। অনুমোদন পেয়ে গেলেই নতুন দলের নাম ও প্রতীক প্রকাশ্যে আনবেন বলেও জানান অমরিন্দর।

এদিন ফের একবার অমরিন্দরের গলায় পঞ্জাব সীমান্তে নিরাপত্তা নিয়ে সংশয়ের সুর শোনা যায়। পাশাপাশি তিনি তাঁর সরকারের কাজের খতিয়ানও তুলে ধরেন। নতুন দল ময়দানে নামানোর আগেই নিজের ক্যারিশমায় পঞ্জাববাসীর মন জয় করতেই এই সব তথ্য সামনে তুলে ধরা হয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অমরিন্দর যেন পদে পদে বোঝালেন, সরকার কাজ করেছে তাঁর নেতৃত্বের কারণে। কংগ্রেস দলের সেখানে আলাদা কোনও কৃতিত্ব নেই।

তিনি দাবি করেন, প্রতিশ্রুতির ৯২ শতাংশ কাজ তিনি সম্পন্ন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। তবে ১০টি কাজ তিনি করতে পারেননি। পাশাপাশি তিনি জানান, ১১৭ আসনে লড়াই করবেন তাঁর নতুন দলের প্রার্থীরা। পাশাপাশি কংগ্রেসের ভাঙন ধরানোর ইঙ্গিত দিয়ে অমরিন্দর বলেন, 'আমার নতুন দলে প্রচুর সংখ্যায় কংগ্রেসের নেতা, কর্মী, সমর্থক রয়েছেন। ক্রমেই তার প্রমাণ পাবেন।'

প্রসঙ্গত, কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের চাপে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেন অমরিন্দর। এরপর থেকেই তিনি জানান যে কংগ্রেসের সঙ্গে তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। যদিও এখনও তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেননি। এদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন অমরিন্দর। যার পরে তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনা তৈরি হয়। এরপর সম্প্রতি তাঁর মিডিয়া উপদেষ্টা রবীন ঠুকরাল জানান, অন্য কোনও দলে যোগদান নয়, অমরিন্দর নিজের নতুন দল তৈরি করবেন। এমনকী, বিজেপির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে পারেন বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়। তাঁদের যুক্তি, কৃষকদের সমস্যা মিটলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

বন্ধ করুন