সমঝোতা হলেও সমাধান সূত্র বের হয়নি। আর এই আবহে সদ্য কংগ্রেস সভাপতি পদে বসা নভজ্যোত সিং সিধুকে প্রথম বলেই প্রত্যাশিত বাউন্সার করলেন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। অমরিন্দর শিবিরের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়াবহয়েছে যে জনসমক্ষে সিধু যদি ক্ষমা না চান, তাহলে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন না মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, পঞ্জাবের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছিলেন সিধু। বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেনের প্রতি নিজের তিক্ততা। সেই দ্বন্দ্বের সিঁড়ি বেয়েই অবশ্য দলের সভাপতি হয়েছেন সিধু। তবে এখন দলের অধিনায়ক হিসেবে তাঁর উপর দায়িত্ব থাকবে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে চলা। তবে দলের 'তারকা খেলোয়াড়' অমরিন্দর সিধুর অধিনায়কত্বে নাখুশ। নির্বাচনের এক বছর আগে এহেন জটিল পরিস্থিতির সামনে পড়ে বেজায় অস্বস্তিতে হাত শিবির।
আর এই পরিস্থিতিতে এখন সিধুর পদক্ষেপের দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। স্বাভাবিক গতিতে চালিয়ে খেলে ছক্কা হাঁকাবেন, নাকি ক্যাপ্টেনকে সম্মান জানিয়ে 'ডট বল' খেলবেন। তবে জানা গিয়েছে পঞ্জাব প্রধানের দায়িত্ব পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চাননি সিধু। অমরিন্দর শিবিরের নেতা রবীন ঠুকরাল পালটা বাউন্সার দিয়ে জানান, সিধু যে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছিলেন, তার জন্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হবে। নাহলে মুখ্যমন্ত্রী ওনার সঙ্গে দেখা করবেন না।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ জল্পনা কল্পনা, টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হন নভজ্যোত সিং সিধু। এই পদে বসার পরই দলের বিভিন্ন নেতা, মন্ত্রী, সাংসদদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন নভজ্যোত সিং সিধু। অনেকের বাড়িতে গিয়েও দেখা করেছেন। তবে সেই তালিকায় অমরিন্দর না থাকায় চিন্তায় রয়েছে হাইকমান্ড। সিধুকে প্রদেশ সভাপতি পদে আনা নিয়ে দলের অন্দরে কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছিল গত কয়েকদিনে। মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর সঙ্গে সিধুর সংঘাত মিটিয়ে রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা চালানো কংগ্রেস এখনও স্বস্তিতে নেই।