বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে রেডিও কলার পরানো 'আমুর বাজ' পৌঁছে গেল চিনে,

হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে রেডিও কলার পরানো 'আমুর বাজ' পৌঁছে গেল চিনে,

ভারতের রেডিও কলার পরে থাকা আমুর বাজ গিয়েছে চিনে (নিজস্ব চিত্র)

আমুর ফ্যালকন। বাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য। উত্তরপূর্ব ভারতে বিশেষত নাগাল্যান্ড, মণিপুরে 'আখুইপুইনা' নামে পরিচিত

আমুর বাজ। পোশাকি নাম আমুর ফ্যালকন। উত্তর চিন, পূর্ব মোঙ্গলিয়া, সুদূর পুর্ব রাশিয়া থেকে উড়ে উত্তরপূর্ব ভারতে আসে। ফের প্রজননের জন্য ফিরে যায় চিনে সহ অন্যত্র। আমুরের এই বিচিত্র যাত্রা সম্পর্কে সম্য়ক ধারণা পেতে ও আমুরের সংরক্ষণের জন্য পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটারও বসানো হয় মাঝেমধ্যে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই রেডিও কলার পরানো সেই আমুর বাজ পৌঁছে গেল উত্তর পূর্ব চিনে। আফ্রিকার দেশ পাড়ি দিয়ে হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পেরিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশের উপর দিয়ে মে মাসে উড়ে গিয়েছে আমুর বাজ। এবার তার প্রজনন ক্ষেত্র চিনে পৌঁচেছে আমুর ফ্যালকন। তামেংলং ফরেস্ট ডিভিশনের বিভাগীয় বনাধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তর পূর্ব চিনে গতবছরের প্রজনন ক্ষেত্রের কাছাকাছি তারা রয়েছে।

প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে ৩১শে অক্টোবর ও ১লা নভেম্বর ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বনদফতরের যৌথ উদ্যোগে মণিপুরের কাছে একটি গ্রামে পাঁচটি আমুল ফ্যালকনের শরীরে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার বসানো হয়েছিল। মূলত তাদের দীর্ঘ রুট ও পরিবেশগত পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে এই রেডিও ট্রান্সমিটার যুক্ত করা হয় আমুরের শরীরে। মণিপুরের গ্রামের নামে তাদের তিনজনের নাম রাখা হয়েছিল। বাকি দুটির নাম ছিল নদীর নামে, ইরাং আর বরাক। তবে চিউলন আর ইরাং কোনও তথ্য পাঠাতে পারছিল না কয়েকদিন পর থেকেই। ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার বৈজ্ঞানিক সুরেশ কুমার জানিয়েছেন, দুটি আমুর দক্ষিণ আফ্রিকাতে গরমকাল কাটিয়ে গত মাসে সোমালিয়াতে ফিরেছিল। বৈজ্ঞানিকদের দাবি, ওই আমুরকে পৃথিবীর সবথেকে বেশি পথ অতিক্রম করা পরিযায়ী পাখি বলে গণ্য করা হয়।

 

বন্ধ করুন