ওড়িশার গঞ্জামে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক সেনা জওয়ান। ৪ দিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর ওই সেনা জওয়ানের মৃত্যু হল। ওই সেনা জওয়ানের নাম দিলেশ্বর পাত্র। তাঁকে পশ্চিমবাংলার দুর্গাপুরে পোস্টিং করা হয়েছিল। এভাবে সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারের শোকে ছায়া নেমে এসেছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত নেমে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সম্পত্তি নিয়ে বচসা, রাগের মাথায় গুলি চালিয়ে বসেন, খুনের দায়ে গ্রেফতার ‘মহাভারত’
জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছিল গত ৩ ডিসেম্বর। ওই সেনা জওয়ান তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে গঞ্জামের গোপালপুরে একটি ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সময় কয়েকজন যুবক মিলে তাঁকে মারধর করে। তার মুখে এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আততায়ীরা। ঘটনায় তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয় ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সেনা জওয়ান কালিপল্লি গ্রামের বাসিন্দা। গঞ্জামের পুলিশ সুপার জগমোহন মীনা জানিয়েছেন, ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সময় পাশের গ্রামের কিছু লোকের সঙ্গে দিলশ্বরের কোনও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বচসা হয়েছিল। তবে সেই সময়কার মতো বচসা থেমে যায়। পরে ম্যাচ শেষে বাড়ি ফেরার সময় হরিপুর এলাকায় পৌঁছতেই ঘটে বিপত্তি। সেখানে কয়েকজন আততায়ী তাঁর পথ আটকায়। এরপর তাঁকে তারা মারধর করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায় আততায়ীরা। পুলিশ সুপার জানান, এই হামলার ফলে দিলেশ্বরের মাথায়, মুখে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত লাগে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এই হত্যার পিছনে সঠিক কারণ সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটি পূর্ব শত্রুতার জেরে ঘটে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি জানান, এই ঘটনায় একজন অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে ঘটনার সঙ্গে ৪ জন জড়িত রয়েছে। তাদের খোঁজ চলছে। এই ঘটনায় পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মৃত সেনা জওয়ানের পরিবারের এক সদস্য বলেন, ‘আমরা দিলেশ্বরকে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও কোনও উত্তর পাইনি। এরপর আমরা তাঁর খোঁজ শুরু করেছিলাম। পরে তাকে রাস্তার ধারে গুরুতর জখম অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। দ্রুত আমরা তাঁকে চিকিৎসার জন্য মহারাজা কৃষ্ণ চন্দ্র গজপতি মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাই। তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় আমরা তাকে ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করি। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।’